জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে টাকা সদকাহ করতে চাইলে যে বছরের কুরবানীর কাজা আদায় করা হয়েছে, সেই বছরের বাজারদর অনুযায়ী হিসেব করতে হবে।
,
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার সময় যে দেশে ছিলো,সেই দেশের বাজারদর অনুযায়ী হিসেব করবে।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
تعتبر القيمة عند حولان الحول اذا كان له مائتا قفيز حنطة للتجارة تساوی مائتی درهم فتم الحول ثم زاد السعر أو انتقص فان أدى من عينها أدى خمسة أقفزة وان أدى القيمة تعتبر قيمتها يوم الوجوب “
( الفتاویٰ الھندیہ ، کتاب الزکوٰۃ ، الفصل فی العروض ، جلد 1 ، صفحہ 179 ، مطبوعہ بیروت )
সারমর্মঃ
যাকাতের ক্ষেত্রে বছর পূর্ণ হলে যাকাত ওয়াজিব হওয়ার মূল্য গ্রহনযোগ্য হবে।
.
(০২)
এ সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন,
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)
,
(০৩)
এমনিতেই নফল সদকাহ করা যাবে।
তবে ওয়াজিব সদকাহ যেমন মান্নত,কুরবানীর চামড়ার মূল্য ইত্যাদি, ফরজ সদকাহ যেমন যাকাত,এই জাতীয় সদকাহ উল্লেখিত খাতে করা যাবেনা।
তবে লিল্লাহ বোর্ডিং এ ফকির মিসকিনকে দিতে পারবে।
হাসপাতালের কোনো ফকির মিসকিনকে মালিক বানিয়ে দিতে পারবে।
,
(০৪)
করজ হিসেবে দিলে করজ আদায়ের পর তাহা কোনো গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
করজের দ্বারা তার সদকাহ আদায় হবেনা।