ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
শাহরুখ হোসেন অনিক, যেহেতু নাম রাখা হয়ে গেছে,এবং এ নামের মারাত্মক কোনো অর্থও নয়,তাই না বদলালেও চলবে।সম্ভব হলে বদলিয়ে কোনো নবী বা সাহাবীর নামে নামকরণ করে নিলে উত্তম হবে।
(২)
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ أَحَبَّ أَسْمَائِكُمْ إِلَى اللَّهِ: عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ» ". رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিকট তোমাদের নামসমূহের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নাম ‘আবদুল্লাহ এবং ‘আবদুর রহমান।সহীহ মুসলিম ৩৯-(৫৭০৯), তিরমিযী ২৮৩৩, আবূ দাঊদ ৪৯৪৯, ইবনু মাজাহ ৩৭২৮,
وَعَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَا تُسَمِّيَنَّ غُلَامَكَ يَسَارًا، وَلَا رَبَاحًا، وَلَا نَجِيحًا، وَلَا أَفْلَحَ، فَإِنَّكَ تَقُولُ: أَثَمَّ هُوَ؟ فَلَا يَكُونُ، فَيَقُولُ لَا» ". رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ، قَالَ: " «لَا تُسَمِّ غُلَامَكَ رَبَاحًا، وَلَا يَسَارًا وَلَا أَفْلَحَ وَلَا نَافِعًا» ".
সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি কখনো তোমাদের ‘‘গোলাম’’ (সন্তান)-এর নাম ‘ইয়াসার’, ‘রবাহ’, ‘নাজীহ’ ও ‘আফলাহ’ রেখ না। কেননা যখন তুমি তার নাম ধরে ডাকবে, আর সে উপস্থিত থাকবে না, তখন কেউ বলবে ‘‘নেই’’
মুসলিম-এর অপর বর্ণনায় রয়েছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি তোমার গোলামের নাম ‘রবাহ’, ‘ইয়াসার’, ‘আফলাহ’ কিংবা নাফি‘ নাম রেখ না।সহীহ : মুসলিম ১১-(২১৩৬), আহমাদ ২০২৪৪,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যেকোনো নবী বা সাহাবীর নাম দ্বারা আপনার সন্তানের নাম রেখে দিবেন।পিতার সাথে মিল থাকা শর্ত নয়।
(৩)
নূহ একজন নবীর নাম।বরকতের উদ্দেশ্যে রাখতে পারেন।
(৪)
এমন কোনো নাম নেই,যা ডাকলে তার আ'মল নামায় নেকী যোগ হবে।নেকী যোগ হয় নিজ আ'মলের মাধ্যমে।
(৫)
আকীকা যেকোনো সময় যেকোনো দিন,যে কারো টাকা দ্বারা দেওয়া যাবে।এক্ষেত্রে বাবার টাকা থাকা শর্ত নয়। হ্যা,৭/১৪/২১/২৮ এইভাবে যেকোনো একদিন দেওয়া মুস্তাহাব।
(৬)
জ্বী,একটি ছাগল দিতে পারবেন।
(৭)যদি ডাক্তার কোনো কারণে ৪০দিন পর চুল ফেলতে বলে তাহলে ফেলা যাবে।কিন্তু এমনিতেই বললে,ডাক্তারের কথা শোনা যাবে না,বরং ৭দিনের দিন চুল ফেলা মুস্তাহাব।