বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
শরীয়তের বিধান হলো
দাড়ি না রাখা , মুন্ডিয়ে ফেলা বা এক মুষ্ঠির
কম রাখা কবীরা গুনাহ।
(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/১৬০)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن ابن عمر
: عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( خالفوا المشركين وفروا اللحى وأحفوا
الشوارب . وكان ابن عمر إذا حج أو اعتمر
قبض على لحيته فما فضل أخذه
হযরত ইবনে ওমর রাঃ
থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ি লম্বা কর।
আর গোঁফকে খাট কর।
আর ইবনে ওমর রাঃ যখন
হজ্ব বা ওমরা করতেন, তখন তিনি তার দাড়িকে মুঠ করে
ধরতেন, তারপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।
{সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৫৩}
کان حلق اللحیۃ محرّما عند ائمۃ المسلمین
المجتہدین أبی حنیفۃ، ومالک، والشافعی، وأحمد وغیرھم -رحمہم اللہ تعالیٰ-“․ (المنہل العذب المورود، کتاب الطہارۃ، أقوال العلماء فی حلق اللحیۃ واتفاقہم علی
حرمتہ: 1/186، موٴسسۃالتاریخ العربی، بیروت، لبنان)
সারমর্মঃ চার মাযহাব
এই বিষয়ে একমত যে সমস্ত মুসলমান মুজতাহিদিনের নিকটে দাড়ি কাটা হারাম।
۔
وأما تقصیرُ اللحیۃ بحیثُ تصیرُ قصیرۃ من القبضۃ،
فغیرُ جائزٍ فی المذاھب الأربعۃ“․ (العرف الشذی، کتاب الآداب، باب ما جاء فی تقلیم الأظفار،
4/162، دار الکتب العلمیۃ)
এক মুষ্ঠি থেকে কম
রেখে দাড়ি কাটা চার মাযহাবের সম্মতিক্রমে নাজায়েজ।
আর শরীয়তের বিধান
বালেগের উপর অর্পিত হয়, নাবালেগের উপর নয়।
(১) আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ،
حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ عَلِيٍّ عَلَيْهِ
السَّلَام، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: رُفِعَ
الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ
الصَّبِيِّ حَتَّى يَحْتَلِمَ، وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ قَالَ أَبُو
دَاوُدَ: رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَلِيٍّ
رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَادَ
فِيهِ: وَالْخَرِفِ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের
লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) নাবালেগ,
যতক্ষণ না সে বালেগ
হয় এবং (৩) পাগল, যতক্ষণ না জ্ঞানসম্পন্ন হয়।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইবনু জুরাইজ পর্যায়ক্রমে
কাসমম ইবনু ইয়াযীদ থেকে আলী (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে
এ হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে 'বার্ধক্যজনিত কারণে
নিস্তেজ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি' কথাটুকু রয়েছে। (সুনানে
আবি-দাউদ-৪৪০৩)
(২ ) আয়িশাহ (রাঃ)
সূত্রে বর্ণিত।
وعن عائشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله
عليه وسلم أنه قال: ((رفع القلم عن ثلاث: عن النائم حتى يستيقظ، وعن الصغير حتى
يكبر، وعن المجنون حتى يعقل أو يفيق
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) নিদ্রিত
ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্তি, যতক্ষণ না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩) অপ্রাপ্ত বয়স্ক
বালক, যতক্ষণ না বালেগ হয়। (সুনানে
আবি-দাউদ-৪৩৯৮)
দাড়ির সীমানা সংক্রান্ত
সম্পর্কে জানতে https://ifatwa.info/20163/
সন্তান কখন বালেগ
হবে সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/13073
আরো জানতে https://ifatwa.info/19017/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ও আপনার ছোট
ভাই যদি প্রাপ্তবয়স্ক হন অর্থাৎ বালেগ হন তাহলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাদের উভয়
জনকে দাড়ি রাখতে হবে, এক মুষ্টির কমে কাটা বা ছাটা জায়েয হবে না।যদিও মুখে পরিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ দাড়ি না গজায় । যতগুলো
দাড়ি উঠেছে সেগুলোই রেখে দিতে হবে।
বি:দ্র: আর যদি আপনার
ছোট ভাই নাবালেগ হন তাহলে তা কাটতে কোন সমস্যা
নেই।