আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
১)আমার পরিবারের মানুষ পুলিশ, তাদের থানায় বিভিন্ন ফলমূল, সবজি ও ফুলের গাছ আছে। তারা প্রায় ই এসব না বলে নিয়ে আসে। মাছ, মরিচ, আম ইত্যাদি। কখনো সখনো আনার সময় ওসি দেখে আবার কখনো দেখে না। আমি এসব খেতে না চাইলে তারা বলে, এসব তো আমাদের জন্যই করে। আমাদের টাকা, জনগণের টাকা। আমাদের হক্ব আছে। কতভাবেই তো আমাদের টাকা নিয়ে নিজেরা খায়, আমাদের ও এসবে হক্ব আছে। আনলে কিছুই হবেনা। আমার প্রশ্ন হলো এগুলো কি হালাল? আর আমি এসব খেতে চাইনা। মাঝেমধ্যে পরিস্থিতিতে পড়ে খেতে হয়। এগুলো খাওয়া কি উচিত?

২) আমাদের কলেজেও এমন গাছ আছে। স্টুডেন্ট রা না বলে যে যার মত ফল, সবজি নিয়ে খায়। এগুলো কি হালাল?

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/3747

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রতিষ্টানের ফলমূল,সবজি, ও ফুলের গাছ ইত্যাদি সবকিছুর মালিক প্রতিষ্টান কর্তৃপক্ষ্য। সুতরাং প্রতিষ্টানের কর্তৃপক্ষ্যের যথাযথ অনুমতি ব্যতিত এগুলো খাওয়া কখনো বৈধ হবে না। 
সরকারী প্রতিষ্টান হলে এগুলোর মালিক জেলা প্রশাসক। সুতরাং জেলা প্রশাসক বা তার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট থেকে ক্রয় করা ব্যতিত এগুলো ভক্ষণ করা কখনো জায়েয হবে না। এবং কলেজের প্রিন্সিপাল হলেন উক্ত কলেজের কর্তৃপক্ষ, সুতরাং কাছ থেকে ক্রয় করা ব্যতিত উক্ত মাল কারো জন্য জায়েয হবে না। যেহেতু জেলা প্রশাসক জনগণের প্রতিনিধি , তাই উনার জন্য কাউকে এমনিতেই দিয়ে দেয়াও জায়েয হবে না। কেননা এতে সমস্ত জনগণের হক নিহিত রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...