ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।
১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য় সুরতে জায়েয হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম।
এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(1)কেউ যদি সরাসরি সুদি ব্যাংকে চাকুরিজীবি হয়, এবং তার চাকুরী সুদ সম্পর্কিত কোনো ডিপার্টমেন্ট থেকে হয়, তাহলে উক্ত ব্যক্তি হতে হাদিয়া নেয়া যাবে না। তবে ব্যাংকে জাড়ুদার পাহাদার ইত্যাদি ব্যক্তির কাছে থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে।
(2)কেউ যদি ইসলামি ব্যাংকে চাকুরিজীবি হয়, এবং তার চাকুরী সুদ সম্পর্কিত কোনো ডিপার্টমেন্ট থেকে হয়, তাহলে উক্ত ব্যক্তি হতে হাদিয়া নেয়া যাবে না। তবে ব্যাংকে জাড়ুদার পাহাদার ইত্যাদি ব্যক্তির কাছে থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে।
(3) উপরে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।