আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,317 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (67 points)
আমরা জানি, ২ বোন একসাথে বিবাহ করা জায়েজ নেই। কেউ যদি এই কাজ করে সেক্ষেত্রে কি ১ম বিবাহ বহাল থাকবে নাকি ২য় বিবাহ নাকি উভয় বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে?
এখানে কি ২ বোন বলতে শুধু আপন বোন ধর্তব্য নাকি বৈপিত্রয় বোন, বৈমাত্রয় বোন, সৎ বোন, খালাতো বোন ইত্যাদি ও ধর্তব্য হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
وَلاَ تَنكِحُواْ مَا نَكَحَ آبَاؤُكُم مِّنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَمَقْتًا وَسَاء سَبِيلاً (22)حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالاَتُكُمْ وَبَنَاتُ الأَخِ وَبَنَاتُ الأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللاَّتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللاَّتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ اللاَّتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُواْ دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلاَئِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلاَبِكُمْ وَأَن تَجْمَعُواْ بَيْنَ الأُخْتَيْنِ إَلاَّ مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا (سورة النساء-23)
আর তোমরা ঐ সমস্ত নারীকে বিবাহ করো না, যাদেরকে তোমাদের পিতারা [বাপ-দাদা বা নারা] বিবাহ করেছেন। কিন্তু যা অতীত হয়েছে, নিশ্চয় তা অত্যন্ত নির্লজ্জতা ও খুব ঘৃণার বিষয় এবং খুব নিকৃষ্ট প্রথা। তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতৃগণ এবং তোমাদের কন্যাগণ এবং তোমাদের বোনগণ এবং তোমাদের ফুপুগণ, এবং তোমাদের খালাগণ এবং ভ্রাতৃ কন্যাগণ এবং বোন কন্যাগণ এবং তোমাদের ঐ বোনগণ যারা দুধ পানের দরুন [বোন] হয়েছে , এবং তোমাদের স্ত্রীদের মাতৃগণ এবং তোমাদের স্ত্রীদের কন্যাগণ, যারা তোমাদের প্রতিপালনে রয়েছে এরূপ স্ত্রী থেকে, যাদের সাথে তোমরা শারিরিক সম্পর্ক করেছ। আর যদি তোমরা ঐ স্ত্রীদের সাথে শারিরিক সম্পর্ক না করে থাকো, তবে তোমাদের কোন গোনাহ হবে না। আর তোমাদের ঐ পুত্রগণের স্ত্রীগণ যারা তোমাদের ঔরসজাত। আর এটাও নিষিদ্ধ যে, দুই বোনকে একত্রে [বিবাহে] রাখবে। কিন্তু যা [এই হুকুমের] পূর্বে হয়েছে [তা মাফ]। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা ক্ষমাপরায়ন, অতীব করুণাময়। {সূরা নিসা-২২-২৩}

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ انْكِحْ أُخْتِي بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ وَتُحِبِّينَ ذَلِكِ قُلْتُ نَعَمْ لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ وَأَحَبُّ مَنْ شَارَكَنِي فِي الْخَيْرِ أُخْتِي فَقَالَ إِنَّ ذَلِكِ لاَ يَحِلُّ لِي فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَوَاللهِ إِنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَنْكِحَ دُرَّةَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ فَقَالَ بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ فَقُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَوَاللهِ لَوْ لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي فِي حَجْرِي مَا حَلَّتْ لِي إِنَّهَا بِنْتُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ أَرْضَعَتْنِي وَأَبَا سَلَمَةَ ثُوَيْبَةُ فَلاَ تَعْرِضْنَ عَلَيَّ بَنَاتِكُنَّ وَلاَ أَخَوَاتِكُنَّ
তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার বোন আবূ সুফিয়ানের মেয়েকে আপনি বিয়ে করুন। তিনি বললেনঃ তুমি কি তা পছন্দ কর? আমি বললাম, হাঁ। আমি তো আর আপনার অধীনে একা নই। যারা আমার সঙ্গে কল্যাণের অংশীদার, আমার বোনও তাদের অন্তর্ভুক্ত হোক, তাই আমি অধিক পছন্দ করি। তিনি বললেনঃ কিন্তু সে তো আমার জন্য হালাল হবে না। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, আপনি নাকি উম্মু সালামাহর মেয়ে দুর্রাকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছেন? তিনি বললেনঃ উম্মু সালামাহর মেয়েকে? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! সে যদি আমার কোলে পালিত, পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত উম্মে সালামাহর গর্ভের সন্তান নাও-হতো, তবু সে আমার জন্য বৈধ ছিল না। সে তো আমার দুধ-ভাইয়ের কন্যা। সুওয়ায়বা আমাকে ও আবূ সালামাহ্কে দুধ পান করিয়েছে। সুতরাং তোমাদের কন্যা ও বোনদের আমার সামনে পেশ করো না। (সহীহ বুখারী-৫৩৭২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ুদই বোনকে একসাথে বিয়ে করা কখনো জায়েয হবে না। পরবর্তীতে যে বোনকে বিয়ে করা হবে, সে বোনের বিয়ে ফাসিদ বলে গণ্য হবে। বোনের সাথে নিজ বোন এবং বৈপিত্রয় বোন, বৈমাত্রয় বোন, সৎ বোন, দেরকে একত্র করে বিয়ে করা যাবে না। হ্যা, খালাতো বোন বা মামতো বোনকে একত্র করে বিয়ে করা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...