আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
247 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (67 points)
কুরবানীর কা'যা আদায় কিভাবে করতে হবে?

এক্ষেত্রে কি ৩ বছরের জন্য ১ টা গরুর ৩ ভাগ নাকি ৩ টা ছাগল কাজার নিয়তে  জবাই করতে হবে?
নাকি নগদ অর্থ সদকাহ করতে হবে?
যদি নগদ অর্থ সদকাহ করতে হয় তাহলে সাধারণ সদকার খাতে সদকাহ করলেই হবে নাকি জাকাতের মতো কোনো নির্দিষ্ট খাত আছে?

নগদ অর্থ সদকার ক্ষেত্রে পশুর দাম নির্ধারণের মানদন্ড কী হবে?

নগদ অর্থ সদকার ক্ষেত্রে ১ টা পশুর দাম কি কয়েকজনের মাঝে বন্টন করা যাবে নাকি ১ জন ব্যক্তিকে পুরো অর্থ প্রদান করতে হবে?

কুরবানীর কাজা আদায়ের বিষয়ে একটু বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি, শাইখ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1642

বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1688, মালে নামী (ক্রমবর্ধমান) মালের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার হওয়ার পরও যদি কুরবানির দিন সমূহে তথা জিলহজ্ব মাসের ১০/১১/১২ তারিখে কুরবানির নিয়তে পশু জবাই করা না হয়, তাহলে পরবর্তীতে কুরবানির মূল্য সদকাহ করতে হবে। কুরবানি হিসেবে যেহেতু ধনী গরীব সবার উপর একটা খাসি ওয়াজিব হয়ে থাকে, তাই একটা ১ বৎসর বয়সের মধ্যম ধরণের একটি খাসির মূল্য সদকাহ করতে হবে। এটাই  মূল বিধান বা নিয়ম। তবে যদি কেউ খাসির মূল্য সদকাহ করার পরিবর্তে বরং একটা খাসিই জবাই করে ফকির মিসকিনকে দিয়ে দেয়, তাহলে তার কুরবানির কা'যা আদায় হয়ে যাবে। 

رد المحتار: (کتاب الأضحیۃ، 463/9، ط: بیروت)
قولہ : (ولو ترکت التضحیۃ الخ) شروع في بیان قضاء الأضحیۃ إذا فاتت عن وقتہا فإنہا مضمونۃ بالقضاء في الجملۃ کما في البدائع ۔۔۔۔۔۔۔ قولہ : (تصدق بہا حیۃ) لوقوع الیأس عن التقرب بالإراقۃ ، وإن تصدق بقیمتہا أجزأہ أیضًا ؛ لأن الواجب ہنا التصدق بعینہا ، وہذا مثلہ فیما ہو المقصود ۔ اھ ۔ ذخیرۃ".

المبسوط للسرخسي: (باب الأضحیۃ، 18/12، ط: دار الکتب العلمیۃ)
"وأما بعد مضي أیام النحر فقد سقط معنی التقرب بإراقۃ الدم ، لأنہا لا تکون قربۃ إلا في مکان مخصوص وہو الحرم ، وفي زمان مخصوص وہو أیام النحر ۔ ولکن یلزمہ التصدق بقیمۃ الأضحیۃ إذا کان ممن تجب علیہ الأضحیۃ ، لأن تقربہ في أیام النحر کان باعتبار المالیۃ فیبقی بعد مضیہا والتقرب بالمال في غیر أیام النحر یکون بالتصدق ، ولأنہ کان یتقرب بسببین : إراقۃ الدم والتصدق باللحم ، وقد عجز عن أحدہما ، وہو قادر علی الآخر فیأتي بما یقدر علیہ"

ولو كان موسرا في جميع الوقت ثم صار فقيرا صار قيمة شاة صالحة دينا في ذمته يتصدق بها متى وجدها. (كتاب الأضحية،الباب الأول، ج:5، ص:293)

 بدائع الصنائع  : ’’انھا لاتقضی بالاراقۃ لأن الاراقۃ لا تعقل قربۃ وانما جعلت قربۃ بالشرع فی وقت مخصوص فاقتصر کونھا قربۃ علی الوقت المخصوص فلا تقضی بعد خروج الوقت ‘‘(بدائع الصنائع ، جلد4، صفحہ 202 ، مطبوعہ کوئٹہ)

’’وان کان لم یوجب علی نفسہ ولا اشتری وھو موسر حتی مضت أیام النحر تصدق بقیمۃ شاۃ تجوز فی الأضحیۃ ‘‘(بدائع الصنائع ، جلد4، صفحہ 203 ، مطبوعہ کوئٹہ)


في بدائع الصنائع :
’’انھا لاتقضی بالاراقۃ لأن الاراقۃ لا تعقل قربۃ وانما جعلت قربۃ بالشرع فی وقت مخصوص فاقتصر کونھا قربۃ علی الوقت المخصوص فلا تقضی بعد خروج الوقت‘‘ (بدائع الصنائع ، کتاب التضحیۃ، ج 06، ص 280، ادارۃ القرآن)

 تنویر الابصار مع الدرالمختار : ”(ولو تركت التضحية ومضت أيامها تصدق بقيمتها غني شراها أولا)۔۔۔۔فالمراد بالقيمة قيمة شاة تجزي فيها“ 

وفي رد المحتار: ”في البدائع أن الصحيح أن الشاة المشتراة للأضحية إذا لم يضح بها حتى مضى الوقت يتصدق الموسر بعينها حية كالفقير بلا خلاف بين أصحابنا ، فإن محمدا قال وهذا قول أبي حنيفة وأبي يوسف وقولنا اهـ ۔۔۔۔۔أن المراد إذا لم يشترها قيمة شاة تجزئ في الأضحية كما في الخلاصة وغيرها .قال القهستاني ، أو قيمة شاة وسط كما في الزاهدي والنظم وغيرهما“ (درِ مختار مع ردالمحتار ، کتاب الاضحیۃ،  ج 09، ص 533-531، مطبوعہ کوئٹہ، ملتقطاً و ملخصاً)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 160 views
0 votes
1 answer 171 views
0 votes
1 answer 170 views
...