ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( الْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ ، وَالْجَزُورُ - أي : البعير - عَنْ سَبْعَةٍ )
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,গরু সাতজনের পক্ষ্য থেকে যথেষ্ট হবে।এবং উট ও সাতজনের পক্ষ্য থেকে যথেষ্ট হবে।(সুনানু আবি-দাউদ-২৮০৮)
ইমাম নববী রাহ বলেন
قال النووي في "شرح مسلم" :
" فِي هَذِهِ الأَحَادِيث دَلالَة لِجَوَازِ الِاشْتِرَاك فِي الْهَدْي , وَأَجْمَعُوا عَلَى أَنَّ الشَّاة لا يَجُوز الاشْتِرَاك فِيهَا
এই সমস্ত হাদীস শরীর হয়ে কুরবানি জায়েয হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করে।এবং ফুকাহায়ে কেরাম একমত যে, বকরীতে শরীকানা জায়েয হবে না।
وإن كان كل واحد منهم صبيا أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانيا ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضا كذا في السراجية.
তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪) (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাবার নামে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে গরু ক্রয় করার পর যদি নিয়ত বদলে যায়, এবং ঐ গরু দ্বার যদি শরীকি ভাবে কুরবানি করার নিয়ত করা হয়ে থাকে, তাহলে ঐ গরু দ্বারা শরীকিভাবে কুরবানি করা জায়েয হবে।