আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
274 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু!

১. আমি জানতে চাই,,,মনকে পাপ থেকে মুক্ত রাখার এবং দ্বীনের ওপর চলার জন্য,, কিছু পরামর্শ চাই ?

২. মা বাবার অবাধ্য সন্তান এর দিকে আল্লাহ ফিরেও তাকাবেন না সেসব সন্তান জাহান্নামে যাবে,,,,,

আমার বয়স মাত্র ১৬+ বড় বোন পালিয়ে বিয়ে করার কারনে আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে।আমার স্বামী অনেক ভালো আলহামদুলিল্লাহ আমরা দু'জন দু'জনের প্রতি সন্তুষ্ট আমি এখন ও বাবার বাড়িতেই থাকি কিন্তু আমার মা বাবা আমার শশুর বাড়িকে নিয়ে সবসময় খোটা দিয়ে কথা বলে তাদের আত্বীয়দের কাছে কিছুদিন পরপর ই তাদের নামে নালিশ জানায় আমার শশুর বাড়ির লোকজন কে আমার স্বামীকে ছোট করে কষ্ট দেয় তাদের কথার দ্বারা আমার এই নিয়ে অনেক তর্ক বির্তক চলে আমার স্বামী আমার বাবার বাসায় আসতেই চায় না আমার বাবা মার অনেক demand আমি কখনো তাদের বলি না আমার এইটা চাই অইটা চাই আমাকে আমার জামাই দেয় না এরকম কিছু তবুও তারা সবসময় ঝগড়া লাগায় এই সেই বইলা আমার জামাইকে গালি দেয় আমার হাসবেন্ড এর কোনো রকমের দোষ নেই আমার বাবা মার demand অনেক high আর তাদের কাছে টাকাই সব এগুলো আমার একদম সহ্য হয় না আমার সাথে এই নিয়ে বিয়ের পর থেকেই বাবা মার সাথে প্রতিদিন ঝগড়া হয় আমি কতটুকুই বা বুঝি আমি যদি তাদের মুখের ওপর উচিত কথা না বলি তাহলে তারা থামেই না আমার স্বামী কে গালিগালাজ করে হেয় করে মোটকথা আমি যদি নিজেকে সংযত না রাখতাম সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে এইরকম বাবা মার সাথে উচিত কথা না বলি তাহলে এতদিনে তারা আমায় ডিভোর্স করানোর পর্যায় নিয়ে যেতে যদিও তারা ডিভোর্স করাতে চায় না কিন্তু তাদের এতো লোভ আমাকে ডিভোর্স করিয়েই ছাড়তো আমার খুব কষ্ট হয় আমি কি করবো এভাবে যদি তাদের কথা মতো না চলি তবে আমি অবাধ্য সন্তান এর মধ্যে পড়বো আর যদি তাদের কথা মতো চলি তবে আমার জীবন তারা ধ্বংস করে দিবে আমার কি করা উচিত আমি কি তাদের কু পরামর্শ অনুযায়ী চলতে বাধ্য ইসলাম এই বিষয়ে কি বলে আমি এখন কোন দিকে জাবো কি করবো আল্লাহর সামনে কি জবাব দিবো কিছুই বুঝতাছি না।

৩. একজন বক্তার ওয়াজ শুনছিলাম। ওনি একটা পরীক্ষীত আমলের কথা বললেন। এই আমল করে উনি যখনি আল্লাহ্‌র দরবারে হাত তুলেছেন আল্লাহ্‌ তাকে ফিরিয়ে দেন নি। আমলটি হলো-

প্রথমে নবী (স) এর উপর একশত বার যেকোনো দরুদ শরীফ, তারপর লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ ৪৯৯ বার, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহি আলিয়িল আযীম ১ বার এরপর আবার ১০০ বার দরুদ পড়ে আল্লাহ্‌র কাছে হাত তুলে মোনাজাতে যার যা দরকার তা দুয়া করতে হবে।
প্রশ্ন হলো এই আমল কি শরীয়ত সম্মত? মানে আমরা কি করতে পারবো?

৪. কোন মেয়ে যদি অবিবাহিত অবস্থায় নিজের পিতার পরিবারের ভরনপোষন করেন।যা তার বিয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে এতে তার করনীয় কি??? যেহেতু আল্লাহ রিযিকদাতা সেহেতু মেয়ের ইনকাম ঐ পরিবারেরই রিজিকের মাধ্যম তাহলে এতে মেয়েটার বিয়েতে কঠিন প্রভাব পড়ার কারনটা কী???? পরিবার অসচ্চল হলে সন্তানের কর্তব্য থাকে তাহলে এমন জটিলতা কেন আসবে???

৫. আমার ইমেইল টা কনফার্ম হচ্ছে না যদি কনফার্ম করে দিতেন।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এই বিষয়ের একমাত্র ফলপ্রসূ সমাধান হল, কোনো দ্বীনদার, আল্লাহ ওয়ালা মানুষের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করা।

(২)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1722 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
গোনাহের কাজ ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত কাজে মাতাপিতার বিধি-নিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)

অন্যত্র বর্ণিত আছে
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতা অন্যায়ভাবে কোনো সন্তানের উপর বদ-দুআ করলে সেই বদ-দুআর প্রভাব সন্তানের উপর পড়বে না। হ্যা, ন্যায়সংগত কোনো কারণে মাতাপিতা সন্তানের উপর রাগ করলে বা বদ-দুআ দিলে তখন সন্তানের উপর উক্ত বদ-দুআর প্রভাব পড়বে। সন্তানের কখনো ভালো হবে না। 


(৩)
জ্বী, আপনি এই আমলও করতে পারেন। এগুলো সালাফ থেকে অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত আমল। আপনাকে আমরা সালাতুল হাজত ও তাহাজ্জুদ নামায এবং সামর্থ্যানুযায়ী দান সদকাহ করার পরামর্শ প্রদান করবো।

(৪)
পরিবার চালানোর জন্য পিতা বা ভাইয়ের সামান্যতম সামর্থ্য ও যোগ্যতা থাকলে,তখন উক্ত পরিবারের কোনো মেয়ের জন্য চাকুরী করার কোনো বৈধতা নাই। যখন পরিবার চলার মত কোনো রাস্তাই বাকী থাকবে না,তখনই শুধুমাত্র মেয়েরা চাকুরীতে যেতে পারবে।
শরীয়তের অনুমোদন না থাকা সত্বেও কোনো মহিলা চাকুরীতে গেলে তখনতো সমস্যা হবেই।
(৫)অফিসে যোগাযোগ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...