ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এই বিষয়ের একমাত্র ফলপ্রসূ সমাধান হল, কোনো দ্বীনদার, আল্লাহ ওয়ালা মানুষের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করা।
(২)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোনাহের কাজ ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত কাজে মাতাপিতার বিধি-নিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)
অন্যত্র বর্ণিত আছে
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতা অন্যায়ভাবে কোনো সন্তানের উপর বদ-দুআ করলে সেই বদ-দুআর প্রভাব সন্তানের উপর পড়বে না। হ্যা, ন্যায়সংগত কোনো কারণে মাতাপিতা সন্তানের উপর রাগ করলে বা বদ-দুআ দিলে তখন সন্তানের উপর উক্ত বদ-দুআর প্রভাব পড়বে। সন্তানের কখনো ভালো হবে না।
(৩)
জ্বী, আপনি এই আমলও করতে পারেন। এগুলো সালাফ থেকে অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত আমল। আপনাকে আমরা সালাতুল হাজত ও তাহাজ্জুদ নামায এবং সামর্থ্যানুযায়ী দান সদকাহ করার পরামর্শ প্রদান করবো।
(৪)
পরিবার চালানোর জন্য পিতা বা ভাইয়ের সামান্যতম সামর্থ্য ও যোগ্যতা থাকলে,তখন উক্ত পরিবারের কোনো মেয়ের জন্য চাকুরী করার কোনো বৈধতা নাই। যখন পরিবার চলার মত কোনো রাস্তাই বাকী থাকবে না,তখনই শুধুমাত্র মেয়েরা চাকুরীতে যেতে পারবে।
শরীয়তের অনুমোদন না থাকা সত্বেও কোনো মহিলা চাকুরীতে গেলে তখনতো সমস্যা হবেই।
(৫)অফিসে যোগাযোগ করবেন।