ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভাবি-দেবর,ভাবি-ননদ জামাই যেহেতু মাহরাম কোনো আত্মীয় নয়।তাই এখানে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব নয়।এবং মাহরাম না হওয়ার ধরুণ তাদের মধ্যকার পরস্পর দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তা কোনোটিই জায়েযও নয়।
বিশেষকরে দেবর সম্পর্কে হাদীসে এসেছে,
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২)
সহীহ বোখারীর বিশিষ্ট টিকাকার মুস্তাফা আল-বাগা বলেন, এখানে হামউন শব্দ দ্বারা স্বামীর সকল নিকটাত্মীয় পুরুষ উদ্দেশ্য। যেহেতু এদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তাকে মানুষ তত গুরুত্ব সহকারে নেয় না, তাই এখানে ফিতনার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ভাবি-দেবর,ভাবি-ননদ জামাই এর জন্য প্রচলিত সামাজিকতার নামে বিনা প্রয়োজনে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তা কখনো জায়েয হবে না। হ্যা পর্দার আড়াল থেকে খাবার দাবার প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দেয়া যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি কবজি পর্যন্ত হাত খোলা রেখে কাজ করতে পারবেন।টখনু পর্যন্ত পা খোলা রেখে কাজ করতে পারবেন।তবে যদি ফিতনার অাশংকা হয়,তখন কিন্তু আপনি এগুলোও খোলা রাখতে পারবেন না।
আপনার বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা বলবো যে,
আপনি আপনার স্বামীর মাধ্যমে আপনার শাশুড়ি ও দেবরকে দ্বীনের বাণী ও শরীয়তের কথা বুঝাতে চেষ্টা করুন। শরীয়তের বিধান সম্পর্কে বুঝার পূর্ব পর্যন্ত আপনি কবজি খোলা রেখে কাজ করতে পারবেন।তবে ফিতনার অাশংকা থাকলে,তখন কবজিও খোলা রাখতে পারবেন না।