আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (84 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার শশুড়বাড়িতে আমার শশুড় শাশুড়ি আর দেবর আছে।

আমি পর্দার জগতে নতুন।এখনো অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে।আল্লহ মাফ করুক।

আমার শাশুড়ী পছন্দ করে না আমি যে পর্দা করি।সুযোগ পেলেই কথা শুনায়।

তাই পর্দা করে কাজ করতে আমার কষ্ট হয়ে যায় খুব।

আর আমি খিমার পড়ে মুখ ঢেকেই সব কাজ করি দেবর থাকলে।

কিন্তু হাতের কবজি,পায়ের পাতা ঢাকিনা।

এগুলা ঢেকে কিভাবে কাজ করব? কাটাকাটি করব কিভাবে বা রান্নাই করব কিভাবে?

১-আমিতো জানি প্রয়োজনে এসব খোলা জায়েজ আছে।তাহলে কি আমার ক্ষেত্রে জায়েজ আছে??

আর আমাকে মাঝে মাঝে দেবরকে খাবার দিতে হয় বা রেডি করে ডাক দিতে হয়। প্রয়োজনে টুকটাক কথা বলতেই হয়।

২- এসব ক্ষেত্রে আমি কতটা করতে পারব?

আর জায়েজ না হলে আমি কিভাবে বোঝাব?
আমাকে সমাধান দিন প্লিজ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভাবি-দেবর,ভাবি-ননদ জামাই যেহেতু মাহরাম কোনো আত্মীয় নয়।তাই এখানে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব নয়।এবং মাহরাম না হওয়ার ধরুণ তাদের মধ্যকার পরস্পর দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তা কোনোটিই জায়েযও নয়।

বিশেষকরে দেবর সম্পর্কে হাদীসে এসেছে,
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২)
সহীহ বোখারীর বিশিষ্ট টিকাকার মুস্তাফা আল-বাগা বলেন, এখানে হামউন শব্দ দ্বারা স্বামীর সকল নিকটাত্মীয় পুরুষ উদ্দেশ্য। যেহেতু এদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তাকে মানুষ তত গুরুত্ব সহকারে নেয় না, তাই এখানে ফিতনার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ভাবি-দেবর,ভাবি-ননদ জামাই এর জন্য প্রচলিত সামাজিকতার নামে বিনা প্রয়োজনে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তা কখনো জায়েয হবে না। হ্যা পর্দার আড়াল থেকে খাবার দাবার প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দেয়া যাবে। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি কবজি পর্যন্ত হাত খোলা রেখে কাজ করতে পারবেন।টখনু পর্যন্ত পা খোলা রেখে কাজ করতে পারবেন।তবে যদি ফিতনার অাশংকা হয়,তখন কিন্তু আপনি এগুলোও খোলা রাখতে পারবেন না।

আপনার বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা বলবো যে,
আপনি আপনার স্বামীর মাধ্যমে আপনার শাশুড়ি ও দেবরকে দ্বীনের বাণী ও শরীয়তের কথা বুঝাতে চেষ্টা করুন। শরীয়তের বিধান সম্পর্কে বুঝার পূর্ব পর্যন্ত আপনি কবজি খোলা রেখে কাজ করতে পারবেন।তবে ফিতনার অাশংকা থাকলে,তখন কবজিও খোলা রাখতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...