ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি কারো উপর যাকাত ওয়াজিব হয়ে যায়, তাহলে তার উপর কুরবানিও ওয়াজিব হয়ে যায়,
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭. ৫ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২. ৫ভড়ি।
এখানে একটি জিনিষ লক্ষণীয় যে,কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে।অন্যথায় যাকাত আসবে না।
তবে হ্যা যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা যদি এভাবে থাকে যে,কোনো একটির নেসাব পূর্ণ হওয়ার জন্য সামান্য বাকী। তাহলে এক্ষেত্রে যেটা বেশী সেটারই নেসাব পূর্ণ করা হবে।
যেমন কারো কাছে স্বর্ণ ৭. ৫ভড়ির চেয়ে সামান্য কম, তাহলে এমতাবস্থায় রূপা দ্বারা স্বর্ণের নেসাবকে পূর্ণ করা হবে।
টাকা এবং মালের নেসাবঃ
টাকা এবং মালকে রূপার সাথে সংযুক্ত করে রূপার নেসাব হিসেবেই ধরা হবে।
তথা কারো কাছে ৫২. ৫ভড়ি সমমূল্যে র টাকা বা ব্যবসায়িক পণ্য থাকলে তার উপর যাকাত আসবে।
এক্ষেত্রে স্বর্ণকে মানঢন্ড হিসেবে ধরা হবে না।*সোনা রূপার বিক্রয়মূল্য র উপরই যাকাত আসে।(শেষ)
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার নিকট শুধুমাত্র স্বর্ণ রয়েছে, এবং স্বর্ণও এমন যে, তা দ্বারা নেসাব সাড়ে সাত ভড়ি পূর্ণ হচ্ছে না, তাই আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।