ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِذَا قُرِىءَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ وَأَنصِتُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত নাযিল হয়।
সূরা আ'রাফ;২০৪
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে
وَتَجِبُ قِرَاءَةُ الْفَاتِحَةِ وَضَمُّ السُّورَةِ أَوْ مَا يَقُومُ مَقَامَهَا مِنْ ثَلَاثِ آيَاتٍ قِصَارٍ أَوْ آيَةٍ طَوِيلَةٍ فِي الْأُولَيَيْنِ بَعْدَ الْفَاتِحَةِ كَذَا فِي النَّهْرِ الْفَائِقِ وَفِي جَمِيعِ رَكَعَاتِ النَّفْلِ وَالْوِتْرِ. هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
সূরায়ে ফাতেহা পড়া ওয়াজিব।(ফরয নামাযের) প্রথম দুই রাকা'তে সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য একটি সূরা বা লাম্বা এক আয়াত অথবা ছোট্ট তিন আয়াত পরিমাণ সূরার কোনো অংশকে মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব।নফল এবং বিতিরের সমস্ত রা'কাতে পড়া সূরায়ে ফাতেহার সাথে ভিন্ন সূরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৭১)
নামাযের মধ্যে এক আয়াত পরিমাণ ক্বিরাত(কোরআনের যে কোনো অংশ থেকে) পড়া ফরয।আর প্রথম দুই রাকা'তে সূরায়ে ফাতেহা পড়া ওয়াজিব।এবং সাথে সাথে সূরা মিলানো ও ওয়াজিব।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৩/১৯১) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/334
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওয়াজিব তরকের কারণে নামাযকে আবার দোহড়াতে হবে। তবে ওয়াক্ত চলে গেলে এই নামাযকে আর দোহড়াতে হয় না। হ্যা, সময় সুযোগ থাকলে অবশ্যই দোহড়ানো উত্তম। আপনার ঐ বন্ধুর জন্য উত্তম হল, ঐ সব নামাযকে দোহড়িয়ে নেওয়া।