ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অযু ব্যতিত মুখস্ত সূরা পড়া যাবে।যেমন - সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন দু'য়া তে 'তিন কুল,আয়াতুল কুরসি' অজু ব্যতিত পড়া যাবে। এবং হায়েয অবস্থায় দু'আর নিয়তে পড়া যাবে।
(২)
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِفْتَاحُ الْجَنَّةِ الصَّلَاةُ، وَمِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الْوُضُوءُ»
[حكم الألباني] : صحيح لغيره
[«سنن الترمذي ت شاكر» (1/ 10)]
নামায বেহেশতের চাবি। উক্ত হাদীসটি সহীহ লি-গায়রিহি। সুতরাং উক্ত হাদীস পড়া যাবে।
(৩)
হায়েজ হলে কুরআন পড়া যায় না, তবে কুরআনের অনুবাদ বা তাফসীর পড়া যাবে। এমতাবস্থায় অন্ততপক্ষে অজু করে কুরআনের অনুবাদ পড়া মুস্তাহাব।