ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
(১) নামাজের মধ্যে সন্দেহ হচ্ছিল পরে চেক করতে গিয়ে অল্প স্রাব অনভূত হয়েছে, উক্ত নামাযকে আবার দোহড়াতে হবে।
(২) নামাজের পর চেক করতে গিয়ে অল্প স্রাব বের হয়েছে সন্দেহ হচ্ছে। এমতাবস্থায় নামায দোহড়াতে হবে না।
(৩) সামান্য পরিমাণ স্রাবের কারণে অজু নষ্ট হয়ে যাবে। এবং ঐ নামাযকে আবার দোহড়াতে হবে।
ওজু ভঙ্গের মৌলিক কারণ ১২টি।
মলদ্বার ও মুত্রদ্বার থেকে যা কিছু বের হবে তা দ্বারা অজু ভঙ্গ হবে।
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।
এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
(ক)সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।
(খ)যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।
মা'যুরের হুকুম হল,
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪)
নেপকিন জাতীয় কিছু পড়ে নিলে সমস্ত কাপড় নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।