আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
edited by
আমি একটি অনলাইন পেজ খুলে কাপড়ের ব্যাবসা করতাম। হালাল ভাবেই করতাম, কোনো বেপর্দা নারীর ছবি দিতাম না। প্রথম দিকে আমার মূলধন শুধু আমাকেই জোগাড় করতে হতো, কেউ দিত না। ব্যাবসা শুরুর কিছুদিন পরে আমি মনে মনে নিয়্যাত করেছিলাম আমার মূলধন দিয়ে ব্যাবসা করে যদি লাভ করতে পারি, ব্যাবসা দাঁড় হয় ভালোভাবে তাহলে এই লাভ এর অর্ধেক আমার পরিচিত কে দিব। তখন প্রয়োজনে তাকে লাভ এর টাকা দিয়ে অর্ধেক মূলধন চেয়ে নিব। যেহেতু ব্যাবসা কেমন চলবে তা জানিনা, তাই আগেই তার থেকে মূলধন নেই নি। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, এটা শুধুই আমার নিয়্যাত বা ইচ্ছে ছিল। আমি এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কোনো চুক্তি করিনি। কিন্তু পরে একদিন কথার ছলে শুধু এটুকু বলেছিলাম যে দুজনের পক্ষ থেকেই মূলধন দিয়েছি আমি।
এর কিছুদিন পরেই আমার ব্যাবসা নানান কারণে বন্ধ হয়ে যায়। কিছু জিনিস রয়েও যায়। আমি পেজ ডিলিট করে দিয়েছি। আমার ব্যাবসা তেমন ভালো চলতো না।
এখন আমার জিজ্ঞাসা হলো- আমি যেহেতু তার থেকে কোনো টাকা নেই নি মূলধন হিসেবে, তাহলে কি তাকে আমার ব্যাবসার যাবতীয় খুঁটিনাটি হিসেব করে অর্ধেক দিতে হবে শুধুমাত্র নিয়্যাত এর কারণে? তার সাথে এখন কোনো যোগাযোগ ও নেই। তাহলে এই টাকা কি তার নামে সাদকাহ করে দিব? আর কিছু কাপড় ও রয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কি করবো?  এগুলো বিক্রি করতে পারছি না। আমি ইতিমধ্যে বান্দার হক্ব নষ্টের ভয়ে তার নামে সাদকাহ করেছি এই ব্যাবসার জিনিস। তবুও আরও কিছু হিসেব বাকি আছে। কি করবো খুব চিন্তায় আছি। দয়া করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে মুদারাবার ক্ষেত্রে অন্যতম শর্ত হলো যতটাকা মূলধন নির্দিষ্ট করে ব্যবসা করবে,সেটি নির্দিষ্ট করে কাজ যে করবে,ব্যবসার কাজ যে করবে,তাকে দিয়ে দিবে।
ব্যবসায় লাভ লোকসানে শরিক হওয়ার চুক্তি হতে হবে।
লভ্যাংশ শতকরা হারে নির্দিষ্ট হতে হবে। 


 مَالِك وَجْهُ الْقِرَاضِ الْمَعْرُوفِ الْجَائِزِ أَنْ يَأْخُذَ الرَّجُلُ الْمَالَ مِنْ صَاحِبِهِ عَلَى أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ وَلَا ضَمَانَ عَلَيْهِ وَنَفَقَةُ الْعَامِلِ فِي الْمَالِ فِي سَفَرِهِ مِنْ طَعَامِهِ وَكِسْوَتِهِ وَمَا يُصْلِحُهُ بِالْمَعْرُوفِ بِقَدْرِ الْمَالِ إِذَا شَخَصَ فِي الْمَالِ إِذَا كَانَ الْمَالُ يَحْمِلُ ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ مُقِيمًا فِي أَهْلِهِ فَلَا نَفَقَةَ لَهُ مِنْ الْمَالِ وَلَا كِسْوَةَ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُعِينَ الْمُتَقَارِضَانِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ إِذَا صَحَّ ذَلِكَ مِنْهُمَا قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَشْتَرِيَ رَبُّ الْمَالِ مِمَّنْ قَارَضَهُ بَعْضَ مَا يَشْتَرِي مِنْ السِّلَعِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ صَحِيحًا عَلَى غَيْرِ شَرْطٍ قَالَ مَالِك فِيمَنْ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ وَإِلَى غُلَامٍ لَهُ مَالًا قِرَاضًا يَعْمَلَانِ فِيهِ جَمِيعًا إِنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ لِأَنَّ الرِّبْحَ مَالٌ لِغُلَامِهِ لَا يَكُونُ الرِّبْحُ لِلسَّيِّدِ حَتَّى يَنْتَزِعَهُ مِنْهُ وَهُوَ بِمَنْزِلَةِ غَيْرِهِ مِنْ كَسْبِهِ 
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুযারাবাত বা শরীকী কারবার এইভাবে বৈধ যে, কেহ কাহারও নিকট হইতে এই শর্তে টাকা নেয় যে, সে শ্রম ও মেহনত করিবে। ক্ষতি হইলে সে দায়ী থাকিবে না। সফরে খাওয়া-দাওয়া এবং বহন খরচ ও অন্যান্য বৈধ খরচ ঐ মাল হইতে নিয়ম মাফিক ব্যয় করা হইবে মূলধন অনুযায়ী। অবশ্য অর্থ গ্রহণকারী আবাসে থাকিলে মূলধন হইতে ব্যয় করিতে পারবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি অর্থ গ্রহণকারী অর্থদাতাকে, অর্থদাতা অর্থ গ্রহণকারীকে তাহার শ্রমের পরিমাণ মতো কোন শর্ত ব্যতীত সাহায্য করে তবে তাহাতে কোন ক্ষতি নাই। যদি অর্থদাতা অর্থ গ্রহণকারী হইতে শর্ত ব্যতীত কোন বস্তু খরিদ করে তবে ইহাতেও কোন ক্ষতি নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে এবং স্বীয় দাসকে শরীকী কারবারের জন্য অর্থ দেয় এবং এই শর্ত করে যে, উভয়ই ইহাতে কাজ করিবে, তবে তাহা জায়েয আছে। কারণ নির্ধারিত লভ্যাংশের মালিক ক্রীতদাস হইবে, তাহার প্রভু উহা ছিনাইয়া লইতে পরিবে না, এই মালের স্বত্বাধিকারী ক্রীতদাসই থাকিবে।
(মুয়াত্তা মালিক ১৩৮৯)
.
আরো জানুনঃ 

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু তার থেকে মুলধন নেননি,ব্যবসা সংক্রান্ত চুক্তিও করেননি,লাভ লস সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি,তাই এ ব্যবসার লভ্যাংশ তাকে দেওয়া,বা তার নামে সদকাহ করা কোনোটাই আপনার উপর আবশ্যক নয়।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (561,180 points)
সংযোজন করা হয়েছে।   

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...