বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ-
ওজুতে মাদমাদাহ তথা
গড়গড়া করে কুলি করা ও ইস্তেনশাক্ব তথা নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো সুন্নত
। তবে রোজাদারের জন্য নয়। হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ
أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ، قَالَ
" أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ
صَائِمًا "
লাকীত ইবনু সাবরাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ!
আমাকে ওজু সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেনঃ পূর্ণরূপে উযূ করবে, আর তুমি যদি রোযাদার না হও তাহলে উত্তমরূপে নাকে
পানি পৌছাবে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে
রয়েছে-
وَالْمُبَالَغَةُ فِيهِمَا سُنَّةٌ أَيْضًا.
كَذَا فِي الْكَافِي وَشَرْحِ الطَّحَاوِيِّ إلَّا أَنْ يَكُونَ صَائِمًا. كَذَا
فِي التَّتَارْخَانِيَّة
ভালভাবে গড়গড়া করে
কুলি করা, ও ভালভাবে নাকে পানি পৌঁছানো
সুন্নত।তবে রোযাদারদের জন্য সুন্নত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৮)
সুতরাং যদি কোন রোজাদারের রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় গড়গড়া কুলি করতে
গিয়ে পেটে পানি চলে যায় তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে। এটা নফল রোজার ক্ষেত্রেও।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে
রয়েছে-
تمضمض أو استنشق فدخل الماء جوفه إن كان ذاكرا لصومه فسد صومه وعليه القضاء
কেউ যদি গড়গড়া কুলি
অথবা নাকে পানি দিতে গিয়ে পানি পেটের ভিতরে চলে যাই এবং সে রোজাদার তার এ কথা স্মরণ
থাকে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তার উপরে কাযা করা ওয়াজিব হবে।ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া,১/২৬৫
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
শুধু গড়গড়া কুলি করলে
রোজা ভাঙ্গবে না । তবে যদি গড়গড়া কুলি করতে গিয়ে
পেটে পানি চলে যায় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে । বি:দ্র:রোজা রাখা অবস্থায় গড়গড়া
কুলি না করা চাই ( যদিও তা নফল রোজা হোক) । কারণ অনেক ক্ষেত্রে অসাবধানতাবশত
গড়গড়া কুলি করতে গিয়ে পেটে পানি চলে যায়।