আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in সাওম (Fasting) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম।
শুক্রবার রোজা রাখতে হলে এর আগে বা পরে মিলিয়ে রাখতে হয় এটা জানি আলহামদুলিল্লাহ। আশুরার রোজা একটা রাখা যায় না এটাও জানি।

প্রশ্ন হলো__

১) নফল রোজা ১ টা রাখা যাবে কিনা??যেমন আইয়্যাবে বীজ,সোমবার,বৃহস্পতিবারের রোজা??

২)ফরয কাজা রোজা আদায় করতে হলে সেক্ষেত্রে ১ টা রাখা যাবে কিনা??নাকি ২ টা করে মিলিয়ে রাখতে হবে?

৩)পূর্বে ১ টা রোজা রেখেছি কয়েকবার,সেক্ষেত্রে কি রোজা কবুল হবে??

৪)ছোট বেলা থেকে আম্মু পড়ালেখার অজুহাত দিয়ে রোজা রাখতে দিতো না।হিসাব করলে হয়তো ১৫০-২০০ টা রোজা জমে গেছে উনার বাড়াবাড়ির কারনে।আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়াত দান করুক।এক্ষেত্রে কিভাবে কাজা আদায় করব??আমার ইচ্ছা ছিলো।কিন্ত বাধ্য হয়ে রোজা রাখতে পারতাম না,বা তখন এত মাসয়ালাও জানতাম নাহ!!এখন এই ফরয রোজার জন্য লজ্জিত।কিভাবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো?ফরজ রোযা তো  শরীয়ত সম্মত ওজর ছাড়া কাজা করলেও পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যায় না!!আমি কি করতে পারি এখন?

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَصُومُ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَّا أَن بِصَوْم قبله أَو بِصَوْم بعده»
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন জুমার দিন সওম না রাখে। হ্যাঁ, জুমার আগের অথবা পরের দিনসহ সওম রাখতে পারে। (সহীহ বুখারী ১৯৮৫, মুসলিম ১১৪৪, তিরমিযী ৭৪৩, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৯২৪০, সহীহ আত্ তারগীব ১০৪৬, আবূ দাঊদ ২০৯১, ইরওয়া ৯৫৯, সহীহ ইবনু হিববান ৩৬১৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৪৮৮,মিশকাত-২০৫১)


মুল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
نَفْيٌ مَعْنَاهُ نَهْيٌ وَهُوَ لِلتَّنْزِيهِ " إِلَّا أَنْ يَصُومَ قَبْلَهُ " يَوْمٌ أَوْ أَكْثَرُ " أَوْ يَصُومُ بَعْدَهُ " وَلَوْ يَوْمًا، قَالَ ابْنُ الْهُمَامِ: وَلَا بَأْسَ بِصَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ مُنْفَرِدًا عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ وَمُحَمَّدٍ - رَحِمَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى -
শুধুমাত্র জুমুআর দিন রোযা রাখা মাকরুহে তানযিহি।এজন্য জুমুআর পূর্বে একদিন বা পরে একদিন রোযা রাখা উচিৎ। ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে শুধুমাত্র জুমুআর দিন রোযা রাখা যাবে।
মোটকথাঃ- সাপ্তাহের কোনো একদিনকে বিশেষভাবে সম্মান দিয়ে ঐ দিনে রোযা রাখা মাকরুহ।তবে সম্মান দিয়ে নির্দিষ্ট করার নিয়ত না থাকলে, সাপ্তাহের যে কোনো দিন রোযা রাখা যেতে পারে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) নফল রোজা ১ টা রাখা যাবে। যেমন আইয়্যাবে বীজ,সোমবার,বৃহস্পতিবারে রোযা রাখা যাবে।তবে বিশেষ কোনো দিনকে সম্মান দিয়ে রোযা রাখার কোনো নিয়ম নাই।

(২)ফরয কাজা রোজা আদায় করতে হলে সেক্ষেত্রেও ১ টা রাখা যাবে। ২ টা করে মিলিয়ে রাখা জরুরী নয়।

(৩)পূর্বে যেই সকল রোযা ১ টা করে রাখা হয়েছে,সেগুলো কবুল হবে ইনশা'আল্লাহ।

(৪)
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে। কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/102 

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2187


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,640 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 395 views
0 votes
1 answer 171 views
...