আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
326 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (1 point)
কুরবানির পূর্বে নখ কাটা। নখ বড় হয়ে যাওয়ায় কাটা জরুরি। কিন্তু জিলহজ্জ মাসের পূর্বে কাটতে ভুলে গিয়েছিলাম। যেহেতু কুরবানি দিবো এখন কি কাটতে পারবো নাকি পারবো না? এই দশদিনে আরও বড় হয়ে যাবে। বিষয়টির উত্তর জানা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

যে ব্যক্তি কুরবানি দেওয়ার ইচ্ছা করেছে, তার জন্য জিলহজ্ব মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে কুরবানি করার আগ পর্যন্ত শরীরের পশম, চুল- নখ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব।

 তবে যদি এর উপর আমল করতে গিয়ে নখ কাটা ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কার এর মেয়াদ ৪০ দিন অতিক্রম হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ৪০ দিনের ভেতরে নখ ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করে নেবে। (শরহুল মুনইয়া ৫৭৩; রদ্দুল মুহতার, ৩/৬৬)

হাদীস শরীফে এসেছে-

 

عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، تَرْفَعُهُ قَالَ " إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ وَعِنْدَهُ أُضْحِيَّةٌ يُرِيدُ أَنْ يُضَحِّيَ فَلاَ يَأْخُذَنَّ شَعْرًا وَلاَ يَقْلِمَنَّ ظُفُرًا " .

 

উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন (যিলহাজ্জ মাসের) প্রথম দশদিন উপস্থিত হয় আর কারো নিকট কুরবানীর পশু উপস্থিত থাকে, যা সে যাবাহ করার নিয়্যাত রাখে, তবে সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে। (মুসলিম শরীফ ৫০১২; নাসায়ী ৪৩৬৪, ইবনু মাজাহ্ ৩১৪৯, আহমাদ ২৬৪৭৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯০৪৩, শু‘আবুল ঈমান ৬৯৪৮, ইরওয়া ১১৬৩, সহীহ আল জামি‘ ৫২০)

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ: أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحَى عِيدًا جَعَلَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ، فَقَالَ الرَّجُلُ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا مَنِيحَةً أُنْثَى أَفَأُضَحِّي بِهَا؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِكَ، وَتُقَلِّمُ أَظْفَارَكَ، وَتَقُصُّ شَارِبَكَ، وَتَحْلِقُ عَانَتَكَ، فَذَلِكَ تَمَامُ أُضْحِيَّتِكَ عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ.

অর্থ : আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. থেকে বর্ণিত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে কুরবানীর দিবসে ঈদ (পালনের) আদেশ করা হয়েছে। যা আল্লাহ এ উম্মতের জন্য নির্ধারণ করেছেন। এক সাহাবী আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমার কাছে শুধু একটি মানিহা থাকে (অর্থাৎ অন্যের থেকে নেওয়া দুগ্ধ দানকারী উটনী) আমি কি তা কুরবানী করতে পারি? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না, তবে তুমি চুল, নখ ও মোঁচ কাটবে এবং নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করবে। এটাই আল্লাহর দরবারে তোমার পূর্ণ কুরবানী বলে গণ্য হবে। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৭৮৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৩৬৫]

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ أَنَسٌ وُقِّتَ لَنَا فِى قَصِّ الشَّارِبِ وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ وَنَتْفِ الإِبْطِ وَحَلْقِ الْعَانَةِ أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً

হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের জন্য মোচ, নখ কর্তন এবং বগলের চুল ও অবাঞ্ছিত লোম কাটার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সেটি হল, যেন তা চল্লিশ দিনের উর্দ্ধে না যায়। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৮, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২৯৫

আরো বিস্তারিত জানতে-https://ifatwa.info/2241/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

কুরবানিদাতার জন্য জিলহজ্ব মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে কুরবানি করার আগ পর্যন্ত শরীরের পশম, চুল- নখ ইত্যাদি না কাটা একটি মুস্তাহাব আমল । আবশ্যকীয় নয় । সুতরাং যদি আপনার নখ জিলহজ্ব মাস শুরু হওয়ার এত আগে কেটে থাকেন যে কুরবানী করা আগ পর্যন্ত না কাটলে ৪০ দিন অতিবাহিত হয়ে যাবে তাহলে অবশ্যই এখন আপনার নখ কেটে ফেলবেন বরং এক্ষেত্রে কাটা জরুরী । আর যদি ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে আপনি উক্ত মুস্তাহাবের উপর আমল করতে পারেন।

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
জাযাকাল্লাহ খায়ের। আলহামদুলিল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...