আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
949 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
edited by

১। আল্লাহর কাছে ৯৯ ভাগ মায়া অবশিষ্ট রয়েছে। তাহলে আমরা কি আল্লাহ কে অসীম দয়ালু বলতে পারব কি? কারন যেহেতু আল্লাহ তিনি তার দয়া কে ভাগ করে এক ভাগ তার সৃষ্টি কে দিয়েসেন ?

২। নামাজে সহু সেজদা দিতে গিয়ে যুদি ভুল হয় তাহলে কি নামাজ  পুনরায় আদায় করব ? নাকি আবার সহু সেজদা দিব ?

৩।মাগরিবের ফরজ নামাজ আদায় করার পর সুন্নত নামাজ আদায় করলাম কিছু  সময় পর মনে হল ফরজ নামাজে ভুল হয়েছে তখন ফরজ নামাজ আদায় করলাম তারপর আবার কি আমাকে সুন্নত নামাজ আদায় করতে হবে যেহেতু নামাজ আগে একবার আদায় করে ফেলেছি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ 

وَعَنْهُ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ جَعَلَ اللهُ الرَّحْمَةَ مِئَةَ جُزْءٍ فَأمْسَكَ عَندَهُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ وَأنْزَلَ في الأرْضِ جُزْءاً وَاحِداً فَمِنْ ذلِكَ الجُزءِ يَتَرَاحَمُ الخَلائِقُ حَتَّى تَرْفَعَ الدَّابّةُ حَافِرَهَا عَن وَلَدِهَا خَشْيَةَ أنْ تُصِيبَهُ
وَفي رِوَايَةٍ إنّ للهِ تَعَالَى مئَةَ رَحمَةٍ أنْزَلَ مِنْهَا رَحْمَةً وَاحِدَةً بَيْنَ الجِنِّ وَالإنسِ وَالبهائِمِ وَالهَوامّ فَبِهَا يَتَعَاطَفُونَ وبِهَا يَتَرَاحَمُونَ وبِهَا تَعْطِفُ الوَحْشُ عَلَى وَلَدِهَا وَأخَّرَ اللهُ تَعَالَى تِسْعاً وَتِسْعينَ رَحْمَةً يرْحَمُ بِهَا عِبَادَهُ يَوْمَ القِيَامَة مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وَرَوَاهُ مُسلِمٌ أَيضاً مِنْ رِوَايَةِ سَلْمَانَ الفَارِسيِّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إنَّ للهِ تَعَالَى مِئَةَ رَحْمَةٍ فَمِنْهَا رَحْمَةٌ يَتَرَاحمُ بِهَا الخَلْقُ بَيْنَهُمْ وَتِسْعٌ وَتِسعُونَ لِيَومِ القِيَامَةِ
وَفي رِوَايَةٍ إنَّ اللهَ تَعَالَى خَلَقَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ مَئَةَ رَحْمَةٍ كُلُّ رَحْمَةٍ طِبَاقُ مَا بَيْنَ السَّماءِ إِلَى الأرْضِ فَجَعَلَ مِنْهَا في الأَرضِ رَحْمَةً فَبِهَا تَعْطفُ الوَالِدَةُ عَلَى وَلَدِهَا وَالوَحْشُ وَالطَّيْرُ بَعْضُهَا عَلَى بَعْض فَإذا كَانَ يَوْمُ القِيَامَةِ أَكمَلَهَا بِهذِهِ الرَّحمَةِ

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ রহমতকে একশ ভাগ করেছেন। তার মধ্যে নিরানব্বই ভাগ তিনি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। আর পৃথিবীতে একভাগ অবতীর্ণ করেছেন। ঐ এক ভাগের কারণেই সৃষ্টজগৎ একে অন্যের উপর দয়া করে। এমনকি জন্তু তার বাচ্চার উপর থেকে পা তুলে নেয় এই ভয়ে যে, সে ব্যথা পাবে।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, নিশ্চয় আল্লাহর একশটি রহমত আছে, যার মধ্য হতে একটি মাত্র রহমত তিনি মানব-দানব, পশু ও কীটপতঙ্গের মধ্যে অবতীর্ণ করেছেন। ঐ এক ভাগের কারণেই (সৃষ্টজীব) একে অপরকে মায়া করে, তার কারণেই একে অন্যকে দয়া করে এবং তার কারণেই হিংস্র জন্তুরা তাদের সন্তানকে মায়া করে থাকে। বাকী নিরানব্বইটি আল্লাহ পরকালের জন্য রেখে দিয়েছেন, যার দ্বারা তিনি কিয়ামতের দিন আপন বান্দাদের উপর রহম করবেন।
এ হাদীসটিকে ইমাম মুসলিমও সালমান ফারেসী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলার একশটি রহমত আছে, যার মধ্য হতে মাত্র একটির কারণে সৃষ্টিজগৎ একে অন্যের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে। আর নিরানব্বইটি (রহমত) কিয়ামতের দিনের জন্য রয়েছে।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহ তা‘আলা আসমান যমীন সৃষ্টি করার দিন একশটি রহমত সৃষ্টি করলেন। প্রতিটি রহমত আসমান ও যমীনের মধ্যস্থল পরিপূর্ণ (বিশাল)। অতঃপর তিনি তার মধ্য হতে একটি রহমত পৃথিবীতে অবতীর্ণ করলেন। ঐ একটির কারণেই মা তার সন্তানকে মায়া করে এবং হিংস্র প্রাণী ও পাখীরা একে অন্যের উপর দয়া করে থাকে। অতঃপর যখন কিয়ামতের দিন হবে, তখন আল্লাহ এই রহমত দ্বারা সংখ্যা পূর্ণ করবেন।
(বুখারী ৬০০০, মুসলিম ৭১৪৮-৭১৫১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তার তৈরী রহমতের ভান্ডার থেকে ১ টি রহমত আমাদের দিয়ে মানব প্রানীদের ভালোবাসার শক্তি দিয়েছেন। 
৯৯ টি রহমত তিনি নিজে আমাদের উপর করবেন,এসব রহমত দিয়েই তিনি বান্দাহর অসংখ্য গুনাহ মাফ করবেন,অসংখ্য জাহান্নামীদের মুক্তি দিবেন।
সুতরাং আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই অসীম দয়ালু।
তিনি লক্ষ কোটি কাফেরকেও বিনা দ্বিধায় শতকোটি নিয়ামতে রেখেছেন,এগুলো তার অসীম দয়ার পরিচয় বহন করে।     
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো   যদি সেজদায়ে সাহুর কোনো ওয়াজিব ছুটে যায়, যেমন এক সেজদাহ আদায় করেনি,তাহলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা উত্তম। 
আরো জানুনঃ 

(০৩)
আপনার যদি সত্যিকার অর্থেই ফরজ নামাজ না হওয়ার কারনে সেটি পুনরায় আদায় করে থাকেন,তাহলে সুন্নাতও পুনরায় আদায় করতে হবে।
,
আর যদি শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে এটি করে থাকেন,তাহলে সুন্নাতের কাজা আদায় করতে হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...