জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ
وَعَنْهُ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ جَعَلَ اللهُ الرَّحْمَةَ مِئَةَ جُزْءٍ فَأمْسَكَ عَندَهُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ وَأنْزَلَ في الأرْضِ جُزْءاً وَاحِداً فَمِنْ ذلِكَ الجُزءِ يَتَرَاحَمُ الخَلائِقُ حَتَّى تَرْفَعَ الدَّابّةُ حَافِرَهَا عَن وَلَدِهَا خَشْيَةَ أنْ تُصِيبَهُ
وَفي رِوَايَةٍ إنّ للهِ تَعَالَى مئَةَ رَحمَةٍ أنْزَلَ مِنْهَا رَحْمَةً وَاحِدَةً بَيْنَ الجِنِّ وَالإنسِ وَالبهائِمِ وَالهَوامّ فَبِهَا يَتَعَاطَفُونَ وبِهَا يَتَرَاحَمُونَ وبِهَا تَعْطِفُ الوَحْشُ عَلَى وَلَدِهَا وَأخَّرَ اللهُ تَعَالَى تِسْعاً وَتِسْعينَ رَحْمَةً يرْحَمُ بِهَا عِبَادَهُ يَوْمَ القِيَامَة مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وَرَوَاهُ مُسلِمٌ أَيضاً مِنْ رِوَايَةِ سَلْمَانَ الفَارِسيِّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إنَّ للهِ تَعَالَى مِئَةَ رَحْمَةٍ فَمِنْهَا رَحْمَةٌ يَتَرَاحمُ بِهَا الخَلْقُ بَيْنَهُمْ وَتِسْعٌ وَتِسعُونَ لِيَومِ القِيَامَةِ
وَفي رِوَايَةٍ إنَّ اللهَ تَعَالَى خَلَقَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ مَئَةَ رَحْمَةٍ كُلُّ رَحْمَةٍ طِبَاقُ مَا بَيْنَ السَّماءِ إِلَى الأرْضِ فَجَعَلَ مِنْهَا في الأَرضِ رَحْمَةً فَبِهَا تَعْطفُ الوَالِدَةُ عَلَى وَلَدِهَا وَالوَحْشُ وَالطَّيْرُ بَعْضُهَا عَلَى بَعْض فَإذا كَانَ يَوْمُ القِيَامَةِ أَكمَلَهَا بِهذِهِ الرَّحمَةِ
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ রহমতকে একশ ভাগ করেছেন। তার মধ্যে নিরানব্বই ভাগ তিনি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। আর পৃথিবীতে একভাগ অবতীর্ণ করেছেন। ঐ এক ভাগের কারণেই সৃষ্টজগৎ একে অন্যের উপর দয়া করে। এমনকি জন্তু তার বাচ্চার উপর থেকে পা তুলে নেয় এই ভয়ে যে, সে ব্যথা পাবে।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, নিশ্চয় আল্লাহর একশটি রহমত আছে, যার মধ্য হতে একটি মাত্র রহমত তিনি মানব-দানব, পশু ও কীটপতঙ্গের মধ্যে অবতীর্ণ করেছেন। ঐ এক ভাগের কারণেই (সৃষ্টজীব) একে অপরকে মায়া করে, তার কারণেই একে অন্যকে দয়া করে এবং তার কারণেই হিংস্র জন্তুরা তাদের সন্তানকে মায়া করে থাকে। বাকী নিরানব্বইটি আল্লাহ পরকালের জন্য রেখে দিয়েছেন, যার দ্বারা তিনি কিয়ামতের দিন আপন বান্দাদের উপর রহম করবেন।
এ হাদীসটিকে ইমাম মুসলিমও সালমান ফারেসী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলার একশটি রহমত আছে, যার মধ্য হতে মাত্র একটির কারণে সৃষ্টিজগৎ একে অন্যের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে। আর নিরানব্বইটি (রহমত) কিয়ামতের দিনের জন্য রয়েছে।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহ তা‘আলা আসমান যমীন সৃষ্টি করার দিন একশটি রহমত সৃষ্টি করলেন। প্রতিটি রহমত আসমান ও যমীনের মধ্যস্থল পরিপূর্ণ (বিশাল)। অতঃপর তিনি তার মধ্য হতে একটি রহমত পৃথিবীতে অবতীর্ণ করলেন। ঐ একটির কারণেই মা তার সন্তানকে মায়া করে এবং হিংস্র প্রাণী ও পাখীরা একে অন্যের উপর দয়া করে থাকে। অতঃপর যখন কিয়ামতের দিন হবে, তখন আল্লাহ এই রহমত দ্বারা সংখ্যা পূর্ণ করবেন।
(বুখারী ৬০০০, মুসলিম ৭১৪৮-৭১৫১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তার তৈরী রহমতের ভান্ডার থেকে ১ টি রহমত আমাদের দিয়ে মানব প্রানীদের ভালোবাসার শক্তি দিয়েছেন।
৯৯ টি রহমত তিনি নিজে আমাদের উপর করবেন,এসব রহমত দিয়েই তিনি বান্দাহর অসংখ্য গুনাহ মাফ করবেন,অসংখ্য জাহান্নামীদের মুক্তি দিবেন।
সুতরাং আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই অসীম দয়ালু।
তিনি লক্ষ কোটি কাফেরকেও বিনা দ্বিধায় শতকোটি নিয়ামতে রেখেছেন,এগুলো তার অসীম দয়ার পরিচয় বহন করে।
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো যদি সেজদায়ে সাহুর কোনো ওয়াজিব ছুটে যায়, যেমন এক সেজদাহ আদায় করেনি,তাহলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা উত্তম।
আরো জানুনঃ
(০৩)
আপনার যদি সত্যিকার অর্থেই ফরজ নামাজ না হওয়ার কারনে সেটি পুনরায় আদায় করে থাকেন,তাহলে সুন্নাতও পুনরায় আদায় করতে হবে।
,
আর যদি শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে এটি করে থাকেন,তাহলে সুন্নাতের কাজা আদায় করতে হবেনা।