আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
330 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (47 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন হল বিয়ের পর স্বামী তার স্ত্রীকে যে জামা কাপড় দিয়ে থাকেন তাতে যদি তিনি স্ত্রীকে বলে দেন যে এটা তোমার মোহরানার টাকা থেকে দেওয়া হয়েছে তাহলে কি মোহারানা কর্তন হবে? এভাবে দেওয়া জায়েজ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3712 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, 
ইসলামে খোরপোষ/নাফক্বাহ ব্যবস্থার মূলনীতি হচ্ছে,প্রত্যেক উপার্জন সক্ষম ব্যক্তি নিজ উপার্জন থেকে নিজ খোরপোষ বহন করবে।যেমন হযরত মিক্বদাম রাঃ থেকে বর্ণিত, 
ﻋﻦ ﺍﻟﻤﻘﺪﺍﻡ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﺎ ﺃﻛﻞ ﺃﺣﺪ ﻃﻌﺎﻣﺎ ﻗﻂ ﺧﻴﺮﺍ ﻣﻦ ﺃﻥ ﻳﺄﻛﻞ ﻣﻦ ﻋﻤﻞ ﻳﺪﻩ ﻭﺇﻥ ﻧﺒﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺩﺍﻭﺩ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻛﺎﻥ ﻳﺄﻛﻞ ﻣﻦ ﻋﻤﻞ ﻳﺪﻩ
নবীজী সাঃ বলেন, নিজ হাতের উপার্জন থেকে উত্তম রিযিক কেউ কখনো আহার করেনি।এবং আল্লাহর নবী হযরত দাউদ (আঃ)নিজ হাতে কর্ম করে খাবার সংগ্রহ করতেন।(সহীহ বুখারী হাদীস নং-১৯৬৬)

নারী-পুরুষ এক্ষেত্রে সবাই সমান। যদি শরীয়তের গন্ডির ভিতরে থেকে রিযিক সংগ্রহ করা তাদের জন্য সম্ভব হয় তাহলে তারা নিজ হাতে রিযিক সংগ্রহ করবে এবং করাই উত্তম। পুরুষের জন্য নিজের খোরপোষ  সংগ্রহ ফরয। এবং মহিলার জন্য পর্দা লঙ্ঘন নাহলে উত্তম।মহিলার খোরপোষ উপার্জন নিজের উপর তখনই ওয়াজিব হবে যখন তার খোরপোষ দেওয়ার মত কেউ থাকবে না।কেননা মহিলাদের খোরপোষ প্রথমে বাবার উপর,তারপর স্বামীর উপর,তারপর ছেলের উপর ওয়াজিব হয়, বিস্তারিত আলোচনা পরে আসছে।

রিযিক সংগ্রহে অক্ষম ব্যক্তিবর্গের জন্য ইসলাম ভিন্ন খোরপোষের ব্যবস্থা রেখেছে।সর্বমোট তিনটি কারণে একজনের উপর অন্যজনের নাফক্বাহ / খোরপোষ ওয়াজিব হয়।এ সম্পর্কে আদ-দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে বর্ণিত আছে
وَنَفَقَةُ الْغَيْرِ تَجِبُ عَلَى الْغَيْرِ بِأَسْبَابٍ ثَلَاثَةٍ: زَوْجِيَّةٌ، وَقَرَابَةٌ، وَمِلْك
একজনের উপর অন্যজনের নাফক্বাহ/খোরপোষ ওয়াজিব হওয়ার সবব বা কারণ সর্বমোট তিনটি।
(১)বৈবাহিক সম্পর্ক
(২)আত্মীয়তার সম্পর্ক
(৩)মিলকিয়্যাত(গোলাম-মালিক)এর সম্পর্ক।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের পর স্বামী তার স্ত্রীকে যে জামা কাপড় দিয়ে থাকেন, সেটা মূলত স্বামীর সামর্থ্যানুযায়ী প্রয়োজনমত স্বামীর উপর ওয়াজিব। সুতরাং স্বামী সেটাকে মহর হিসেবে কর্তন করতে পারবেন না। হ্যা, প্রয়োজন অতিরিক্ত যদি স্ত্রী ধাবী করে বসে, তাহলে তখন স্বামী সে উক্ত জামাকাপড় বাবৎ টাকাকে মহর হিসেবে কর্তন করতে পারবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...