আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম । আমরা সবাই জানি যে কিয়ামতের দিন কেউ কারো কোনো উপকারে আসবে না, কেউ কারোর পাপের ভাগীদার হবে না। তবে মা বাবা যদি দ্বীন সম্পর্কে সন্তানকে শিক্ষা না দেয় তাহলে সেটার দায় মা বাবার যা ভিন্ন বিষয় । এখন এক শ্রেণীর মানুষ অর্থাৎ তাবলীগের সদস্যরা এটা দাবি করছে যে কেউ যদি আল্লাহর হুকুম না মানে তাহলে নাকি আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার প্রতিবেশী মুসলিমকে ধরবেন যে কেন সেই মানুষটি আল্লাহর হুকুম অমান্য করল। এটা ঠিক যে আল্লাহ বলেছেন যে সৎকাজের আদেশ দিতে হবে ও অসৎকাজে নিষেধ করতে হবে। কিয়ামতের দিন যেহেতু নিজের হিসাব নিজেকেই দিতে হবে তাহলে কেন  তাবলীগ প্রচার করছে যে এক মুসলিম গুনাহ করলে অন্য মুসলিমকে দায়ী করা হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,380 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/703 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ সমস্ত মুসলমানদের উপর ফরযে কেফায়া। তথা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করে নিলে সবার উপর থেকে আদায় হয়ে যায়।তবে ব্যক্তিগত ভাবে সবাইকে নিজ নিজ অন্তর পবিত্র রাখা ও শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজ অন্তরকে হেফাজতে রাখা ফরযে আইন। (আহকামুল কুরাআন-জাসসাস;২/৩১৫,ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া-২/৪৩৮)

পরিবারের সদস্য ব্যতিত অন্য কাউকে দ্বীনের দাওয়াত না দিলে আখেরাতে জবাব দিতে হবে?

শরীয়ত যাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অভিভাবক নিযুক্ত করেছ, তার উপর ওয়াজিব অধীনস্থ সবাইকে দ্বীনের দিকে নিয়ে আসা।এর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা।নিজ অধীনস্থ ব্যতীত অন্য সবাইকে দাওয়াত দেয়া ফরযে কেফায়া।মুসলমানদের যে কোনো একজনকে আদায় করতে হবে।কেউ একজন আদায় করে নিলে সমস্ত মুসলমানের উপর থেকে দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে। নতুবা সবাইকে এর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।তথা সবাই গোনাহগার হবে।যে বা যারা এই মহান দায়িত্ব আদায় করবে তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত রহমত আর অশেষ বিনিমেয়ের ভান্ডার।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রতিবেশীকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাছানোর চেষ্টা করাও একটি দায়িত্ব। এবং এটা ফরযে কেফায়। আমভাবে এটা বলা যাবে না যে,
"যদি আল্লাহর হুকুম না মানে তাহলে নাকি আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার প্রতিবেশী মুসলিমকে ধরবেন যে কেন সেই মানুষটি আল্লাহর হুকুম অমান্য করল।"

হ্যা,আল্লাহ অত্র এলাকার সবাইকে জিজ্ঞাসা করবেন।

নিজের আমলের হিসাব নিকাশ নিজেকেই দিতে হবে।জাযাকুমুল্লাহ।একজনের পাপ অন্যজন বহন করবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...