ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) সহজ ভাষায় বলা যায় যে,ঈমান হল- এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান এদের একটি ব্যতীত অন্যটি কল্পনাও করা যায় না। এদের একটি অপরটির উপর গভীরভাবে নির্ভরশীল।
ঈমান ও ইসলামের সম্পর্ক গাছের মূল শাখা-প্রশাখার মত। ইমান হলো গাছের মূল শিকর বা মূল আর ইসলাম তার শাখা-প্রশাখা।মূল না থাকলে শাখা-প্রশাখা হয়না আর শাখা-প্রশাখা না থাকলে মূল বা শিকড় মূল্যহীন। তদ্রুপ ঈমান ও ইসলাম একটি অন্যটি ব্যতীত পূর্ণাঙ্গ হয় না। ঈমান মানুষের অন্তরে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, অনুরাগ ও তাঁর সন্তুষ্টি লাভের বাসনা সৃষ্টি করে। আর তাতে ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে সজীব ও সতেজ হয়ে পরিপূর্ণ সৌন্দর্য বিকশিত হয় ইসলাম।ইসলাম হলো ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। ঈমান হল অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত। আর ইসলাম বাহ্যিক আচার-আচরণ ও কার্যাবলী সাথে সম্পৃক্ত। যেমন আল্লাহ, রাসুল, ফেরেশতা ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্বাস করা হলো ঈমান।আর সালাত, জাকাত, হজ ইত্যাদি বিষয় পালন করা হলো ইসলাম।প্রকৃতপক্ষে, ঈমান ও ইসলাম একটি অপরটির পরিপূরক। দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা লাভ করতে হলে ঈমান ও ইসলাম উভয়টিকেই পরিপূর্ণভাবে জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে।
(২) ঈমানের বাস্তবতা হল,কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দেওয়া।আর কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দেওয়া বা বাস্তবায়ন করার নামই হল,ইসলাম।
(৩) ঈমান বাড়ে আবার কমেও।সুতরাং যখন আখেরাতের প্রতি টান কমে গেছে বলে মনে হবে,তখন এর অর্থ হল, ঈমানের মধ্যে কিছু কমতি চলে এসেছে।
(৪)
বেশী বেশী দ্বীনি আলোচনা করা।দ্বীন নিয়ে চিন্তা গবেষণা করা।ফরয আদায় পরবর্তী নফল ইবাদতে মনযোগী হওয়া।
(৫) অাল্লাহ এবং রাসূল অবমাননা হয়,এমন কোনো কিছু করা বা বলা।এটার দ্বারাই মূলত ঈমান ভঙ্গ হয়।