ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাফসীরে ইবনে কাসিরে উল্লেখ করা হয় যে,
ইবলিশ জ্বীন জাতীর অন্তর্ভুক্ত ছিল।তবে যে সে তাদের নবী ছিল! সে সম্পর্কেও কুরআন হাদীসে কিছুই আসেনি।
আমাদের সমাজে এমন ধারণা আছে যে, ইবলিস আসলে একজন সম্মানিত ফেরেশতা ছিল, তারপর তাকে বের করে দেওয়া হয় এবং সে শয়তান হয়ে যায়। এই ধারণা রাখেন, যখন তারা এই আয়াতটি পড়েন—
“যখন ‘আমি’ ফেরেশতাদেরকে বলেছিলাম, ‘আদমের প্রতি সিজদা করো’, তখন তারা সিজদা করেছিল, তবে ইবলিস ছাড়া।…” [সূরা বাকারাহ ২:৩৪]
ইবলিসকে তার জ্ঞান এবং যোগ্যতার জন্য ফেরেশতা উপাধি দেয়া হয় আর তার নতুন নাম দেয়া হয় আজাজিল (“আল্লাহ্ শক্তিদানকারী” অর্থাৎ ইবলিস জেনেটিকালি জিন হলেও সে ফেরেশতার সম্মান প্রাপ্ত ছিল। এরপর আদমকে সিজদার আদেশ অমান্য করার পর তার নাম হয় ইবলিস বা অভিশপ্ত। তারমানে এখানে ফেরেশতা হিসেবে সম্বোধন করলেও কোন সমস্যা থাকে না।(শেষ)
(২)
ইবলিশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মা'রিফুল কুরআন দেখুন। কিংবা কাসাসূল কুরআন কিতাবখানাও সংগ্রহে রাখতে পারেন।
(৩)
কুরআনকে পরিপূর্ণরূপে বুঝতে হলে প্রথমে অারবী ভাষা শিখতে হবে। আরবী শিখার পর ফিকহ,উসূলে ফিকহ, তাফসীর ও উসূলে তাফসীর সহ I.O.M এর যাবতীয় কোর্স আপনাকে করতে হবে। আপনি অফিসে যোগাযোগ করে ভর্তি নিয়ে সমস্ত তথ্য জানার চেষ্টা করুন।