আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (80 points)
আসালামুয়ালাইকুম শায়েখ।

কুরআন হিফজ নিয়ে কিছু প্রশ্ন ছিল।

১)কোনো আয়াত মুখস্ত করতে হলে বারবার পড়তে হয়।এখন এই বারবার পড়ার ক্ষেত্রে কি প্রতিবার বিসমিল্লাহ পড়তে হবে?নাকি একবার বললেই হবে?

২)যদি সুরার শুরু থেকে না শুরু করা হয় অর্থাৎ মাঝখান থেকে শুরু করলে কি শুধু আউযুবিল্লাহ পড়লেই হবে নাকি বিসমিল্লাহ বলতে হবে?

৩)নামাজে প্রতি রাকাতের শুরুতেই কি আউযুবিল্লাহ আর বিসমিল্লাহ বলতে হবে?

৪) সিজদার আয়াত মুখস্তের  ক্ষেত্রে কি যতবার সিজদার আয়াত পড়বো ততবারই সিজদা দিতে হবে?

৫)একজন আলেমের কাছে শুনেছি যে একজন হাফেজ যদি আল্লাহর নিকট কবুল হয় তবে সে কিয়ামতের দিন ৭০জনকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিতে পারবে আর একজন শহীদের শাহাদত যদি আল্লাহর কাছে কবুল হয় তবে সে কিয়ামতের দিন ৭০০জনকে জান্নাতে নিতে পারবে এ কথা কি সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত?

জাযাকাল্লাহ খায়রান।

1 Answer

0 votes
by (714,120 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) কোনো আয়াত মুখস্ত করতে হলে বারবার পড়তে হয়।এখন এই বারবার পড়ার ক্ষেত্রে প্রতিবার বিসমিল্লাহ পড়তে হবেনা, বরং শুধুমাত্র প্রথমবার বিসমিল্লাহ পড়ে নিলেই হবে। 

(২) আউযুবিল্লাহ পড়লেই হবে। 

(৩) 
https://www.ifatwa.info/1300 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি.......
আউযু বিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ যেহেতু ক্বেরাতের সুন্নাত।তাই যার যিম্মায় ক্বেরাত রয়েছে,অর্থাৎ কুরআন তেলাওয়াত কারী চায় ইমাম হোক বা মুনফারিদ(একাকী নামায আদায় কারী)তিনিই একমাত্র আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ্ পড়বেন।এবং পড়াই সুন্নাত।
আল্লাম ইবনে নুজাইম রাহ লিখেন,
ان التعوذ سنة للقراءة فيأتي به كل قارئ للقرآن .....لا يأتي به المقتدي
আউযুবিল্লাহ ক্বেরাতের সুন্নত। সুতরাং ক্বারী সাহেবগণই একমাত্র পড়বেন।মুক্বতাদি পড়বেন না।(আল-বাহরুর রায়েক্ব-১/৩১১)

আউযু বিল্লাহ শুধুমাত্র প্রথম রাকাতে পড়া সুন্নত।আর নামাযের প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে নিম্নস্বরে বিসমিল্লাহ্ পড়া সুন্নত। এবং সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়া উত্তম। অবশ্য এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। তবে সুন্নত না হওয়ার উপর সবাই-ই একমত।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫১,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১৭২) প্রথম রাকাত ব্যতিত অন্যান্য রাকাতে আউযুবিল্লাহ পড়তে হবে না। 

(৪) এক মজলিসে একটি সেজদার আয়াতকে যতবারই তেলাওয়াত করা হোক না কেন, একটি সেজদাই ওয়াজিব হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/576

(৫)
https://www.ifatwa.info/5024 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَاسْتَظْهَرَهُ فَأَحَلَّ حَلَالَهُ، وَحَرَّمَ حَرَامَهُ أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ وَشَفَّعَهُ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ كُلِّهِمْ قَدْ وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ» " رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَحَفْصُ بْنُ سَلْمَانَ الرَّاوِي لَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ يَضْعُفُ فِي الْحَدِيثِ.
‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে ও একে মুখস্থ করে, এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনে চলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তার পরিবারের এমন দশ ব্যক্তির জন্য তার সুপারিশ কবূল করবেন, যাদের প্রত্যেকেরই নিশ্চিত ছিল জাহান্নাম। (আহমদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী। কিন্তু ইমাম তিরমিযী বলেছেন, এ হাদীসটি গরীব। এর একজন বর্ণনাকারী হাফস ইবনু সুলায়মান হাদীস বর্ণনায় দুর্বল।)(মিশকাত-২১৪১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,120 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 117 views
...