এই সমস্ত অযিফাগুলি কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবে বিভিন্ন মহান বুযুর্গানে দ্বীনের অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে।
এসব অযিফা করতেও কোনো সমস্যা নেই।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন এমনভাবে সংখ্যা নির্দিষ্ট করা থেকে নিষেধ করেছেন।
যে অযিফাগুলি কুরআন এবং পবিত্র হাদিস দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত নয়, তবে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক বা শারীরিক অসুস্থতার নিরাময়ের জন্য বা অন্যান্য বৈধ বিষয় ও উদ্দেশ্যগুলির সমাধানের জন্য আমল করা বিভিন্ন বুযুর্গানে দ্বীনে দ্বারা প্রমাণিত।
এসবকে সুন্নত মনে করা, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করা বিদআত। নতুবা এমনিতে আমল করতে কোন সমস্যা নেই।
রাসুল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .
‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
আরো জানুনঃ