আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (60 points)

আসসালামুয়ালাইকুম।

শায়েখ,সম্প্রতি মামা নজরে একটি হাদিস পড়ে ।মুফতি তাকি উসমানী সাহেব এই হাদীসটি লেকচারের উল্লেখ করেছেন। কিন্তু হাদীসটির  রেফারেন্স উল্লেখ করেননি। আমি ওনার লেকচারের লিংক এখানে শেয়ার করলাম। অনুগ্রহ করে লেকচারে উল্লিখিত হাদিসের রেফারেন্স দিবেন।

হাদীসটি কি নাহি আনিল মুনকার এর বিপরীত? শাইখ যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।

https://youtu.be/CM4s4EKssyw

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ جَارِيَةَ اللَّخْمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو أُمَيَّةَ الشَّعْبَانِيُّ، قَالَ سَأَلْتُ أَبَا ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيَّ فَقُلْتُ يَا أَبَا ثَعْلَبَةَ كَيْفَ تَقُولُ فِي هَذِهِ الآيَةِ ( عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ ) قَالَ أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ سَأَلْتَ عَنْهَا خَبِيرًا سَأَلْتُ عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " بَلِ ائْتَمِرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَتَنَاهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ حَتَّى إِذَا رَأَيْتَ شُحًّا مُطَاعًا وَهَوًى مُتَّبَعًا وَدُنْيَا مُؤْثَرَةً وَإِعْجَابَ كُلِّ ذِي رَأْىٍ بِرَأْيِهِ فَعَلَيْكَ - يَعْنِي بِنَفْسِكَ - وَدَعْ عَنْكَ الْعَوَامَّ فَإِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ أَيَّامَ الصَّبْرِ الصَّبْرُ فِيهِ مِثْلُ قَبْضٍ عَلَى الْجَمْرِ لِلْعَامِلِ فِيهِمْ مِثْلُ أَجْرِ خَمْسِينَ رَجُلاً يَعْمَلُونَ مِثْلَ عَمَلِهِ " . وَزَادَنِي غَيْرُهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَجْرُ خَمْسِينَ مِنْهُمْ قَالَ " أَجْرُ خَمْسِينَ مِنْكُمْ " .

আবূ রাবী’ (রহঃ) ------ আবূ উমাইয়া শা’বানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি আবূ ছা’লাবা খুশানী (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করে, হে আবূ ছা’লাবা! এ আয়াত সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তিনি বলেনঃ আল্লাহ্র শপথ! তুমি এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেই জিজ্ঞাসা করেছে। একদা আমি এ আয়াত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেনঃ তুমি তোমার সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার পর তোমার দায়িত্ব হলো- সৎকাজের আদেশ দেওয়া এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা। একাজ তুমি ততক্ষণ করবে, যতক্ষণ না তুমি লোকদের কৃপণতার অনুসারী এবং স্বীয় খাহেশের অনুগামী দেখবে। আর দুনিয়াকে দীনের উপর প্রাধান্য দিতে থাকে এবং প্রত্যেক অহংকারী ব্যক্তি নিজের মতামতের অনুসরণকারী হয়। এমতাবস্থায় তুমি তোমার সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করবে এবং সাধারণের কথা পরিত্যাগ করবে। কেননা, এর পরেই সবরের সময়। আর সে সময় সবর করা এরূপ, যেন জ্বলন্ত আগুন হাতে রাখা। সে সময় যে ব্যক্তি নেক আমল করবে, সে পঞ্চাশ জনের সমান ছাওয়াব পাবে। তখন জনৈক সাহাবী জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাদের মাঝের পঞ্চাশ জনের নেকীর অনুরূপ নেকী সে পাবে? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের মত পঞ্চাশ জনের ছাওয়াবের অনুরূপ ছাওয়াব সে পাবে।
(আবু দাউদ ৪২৯০,তিরমিজি ৩০৫৮,ইবনে মাজাহ ৪০১৪ সহীহ ইবনু হিব্বান ১৮৫০, হিদায়াতুর্ রুওয়াত ৪/৪৮৬,মিশকাত ৫১৪৪)

ব্যাখ্যাঃ (عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ) উল্লেখিত আয়াতাংশের ব্যাখ্যায় ইমাম বায়যাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আয়াতাংশের অর্থ হলো তোমরা নিজেরদেরকে বিপদাপদ ও অন্যায় অশ্লীলতা থেকে হিফাযাত কর এবং কৃত অন্যায় অপরাধ থেকে সংশোধন কর।

(بَلِ ائْتَمَرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَتَنَاهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ) বর্ণিত হাদীসাংশের অর্থ হলো তোমরা একে অন্যকে সৎকাজের আদেশ কর আর এক দল অন্যদলকে মন্দ কাজে থেকে নিষেধ কর।

ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তোমরা এ দু’টো বিষয়কে (সৎকাজের আদেশ আর মন্দ কাজের নিষেধ) পরিপূর্ণরূপে উত্তম পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন কর। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

★যখন প্রবল ফিতনার যুগ আসবে,নিজের ঈমান নিয়ে টিকে থাকাই যখন মুশকিল হবে,তখন নাহি আনিল মুনকার করে কোনো সমস্যা দূর হবনা।
তাই সেই সময়ে নাহি আনিল মুনকার না করে নিজেকে নিয়ে টিক থাকাই এই হাদীসের মর্মার্থ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (60 points)
শাইখ হাদীসটি তো যঈফ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...