ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যথাসম্ভব মাতাপিতার খেদমত করা সন্তানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কোরআন ও সহীহ হাদীসের মাঝে পিতা-মাতার ফযীলত এর ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। নিম্মে যা উল্লেখ করা আবশ্যক মনে করছি, তাহলো উক্ত যয়ীফ হাদীসটির কাছাকাছি অর্থ অন্য একটি সহীহ হাদীসের মাঝেও পাওয়া যায়। আর তা হলো-
سنن النسائي (6/ 11)
3104 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ الْوَرَّاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ طَلْحَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السَّلَمِيِّ، أَنَّ جَاهِمَةَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَدْتُ أَنْ أَغْزُوَ وَقَدْ جِئْتُ أَسْتَشِيرُكَ، فَقَالَ: «هَلْ لَكَ مِنْ أُمٍّ؟» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «فَالْزَمْهَا، فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ رِجْلَيْهَا»
হযরত মুআবীয়া ইবনে জাহিমা সালামী (রা.) বলেন, আমার পিতা জাহিমা একদা রাসূল (সা.) এর খেদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছে করেছি। তাই আপনার নিকট পরামর্শ করতে এসেছি। রাসূল (সা.) বললেন, তোমার মা (জীবিত) আছেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাসূল (সা.) বললেন «فَالْزَمْهَا، فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ رِجْلَيْهَا» তার খেদমতে লেগে থাকো। কেননা জান্নাত তার দু’পায়ের নিচে। নাসায়ী-৬/১১, হাদীস-৩১০৪, মুসতাদরাকে হাকেম-২/১১৪, হাদীস-২৫০২, মুসনাদে আহমদ-২৪/ ২৯৯, হাদীস-১৫৫৩৮। অসংখ্য ইমামগণ হাদীসটিকে সহীহ তথা প্রমাণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার মা অসুস্থ।যে জন্য তিনি তার মায়ের খেদমত করতে পারছেন,তবে তারা সবাই আপনার ছোট খালাকে জায়গার বিনিমেয় আপনার নানীর খেদমত করার চুক্তি করেছেন,তাই আপনার নানীর খেদমত না করার জন্য আপনার মায়ের কোনো গোনাহ হবে না।