ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
واعلم أن صفة الماء المستعمل حكى بعضهم فيها خلافا على ثلاث روايات. وقال مشايخ العراق: لم يثبت في ذلك اختلاف أصلا بل هو طاهر غير طهور عند أصحابنا جميعا. قال شيخ الإسلام في "شرح الجامع الصغير": وهو المختار عندنا وهو المذكور في عامة كتب محمد عن أصحابنا واختاره المحققون من مشايخ ما وراء النهر, وقال في المجتبى وقد صحت الروايات عن الكل: أنه طاهر غير طهور إلا الحسن وروايته شاذة غير مأخوذ بها كما في مجمع الأنهر,
জেনে রাখা ভালো যে,ব্যবহৃত পানির বিধান সম্পর্কে কেউ কেউ তিন ধরণের পরস্পর বিরোধী মতামত উল্লেখ করে থাকেন।মাশায়েখে ইরাক্ব বলেন, এ বিষয়ে মূলত কোনো ইখতেলাফ(মতপার্থক্য)নেই। বরং ব্যবহৃত পানি (নিজে) পবিত্র যদিও সে অন্য কাউকেই পবিত্র বানাতে পারে না।জা'মে সগীরের ব্যাখ্যাগ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে যে ইহাই পছন্দনীয় মত।আমাদের উলামাদের রেফারেন্সে ইমাম মুহাম্মদের কিতাবসমূহে এটাই বর্ণিত রয়েছে।মা-ওরাউন নাহর এর মুহাক্বিক মাশায়েখগণ ইহাকেই পছন্দ করেছেন।মুজতাবা কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে,সকল কিতাবে ভাষ্যমতে মা'য়ে মুস্তা'মাল(ব্যবহৃত পানি)পবিত্র যদিও সে কাউকে পবিত্র বানাতে পারেনা।শুধুমাত্র হাসান রাহ, এর রেওয়ায়াত একটু ব্যতিক্রম তবে উনার রেওয়ায়াত সায,যা উল্লেখযোগ্য নয়। (মাজমা'উল আনহুর, হাশিয়াতুত তাহতাবী-আ'লা মারাক্বিল ফালাহ-১/২৩-শামেলা)
উক্ত কিতাবের অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে,
فالحاصل أنه يجوز الوضوء والغسل من الفساقي الصغار ما لم يغلب على ظنه أن الماء المستعمل أكثر, أو مساو ولم يغلب على ظنه وقوع نجاسة فيه وتمامه فيه
মোটকথাঃ-ছোট্ট পাত্র থেকে ওজু করার জন্য হাত দ্বারা চিল্লু ভরে পানি নেয়ার পর অবশিষ্ট পানি দ্বারা ওজু গোসল জায়েয আছে।যতক্ষণ না ব্যবহৃত পানি অবশিষ্ট পানি থেকে বেশী বা সমান হওয়ার ধারণ হচ্ছে এবং অবশিষ্ট পানিতে কোনো প্রকার নাজাসত পতিত হওয়ার ধারণা হচ্ছে। (হাশিয়াতুত তাহতাবী-আ'লা মারাক্বিল ফালাহ-১/২৬-শামেলা) (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উত্তম হল, পাত্র কাৎ করে তারপর হাতে পানি ঢেলে উক্ত পানি দ্বারা অজু করা। যদি কেউ পাত্র থেকে হাত প্রবেশ করিয়ে তারপর সেখান থেকে পানি নিয়ে অজু করে, তাহলে অজু হবে।