ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
في النصاب رجل أكل أو شرب قبل الشروع في الصلاة وبقي في فمه فضل طعام أو شراب فأكل أو شرب ما بقي فيه لا تفسد صلاته وعليه الفتوى وكذا لو كان بين أسنانه شيء وهو في الصلاة فابتلعه لم تفسد صلاته وإن كان مقدار الحمصة وهو قول أبي حنيفة وأبي يوسف - رحمهما الله تعالى - كذا في المضمرات.
যদি কেউ নামায শুরু পূর্বে খেয়ে থাকে,এবং তার মুখে কিছু অবশিষ্ট থাকে,এবং সে গিলে ফেলে,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।ঠিকতেমনিভাবে যদি কারো দাতের ফাকে কিছু থাকে,এবং সে খেয়ে নেয়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে,যদিও তা এক ছানা বরাবর হয় না কেন? এটা ইমাম আবু হানিফা ও আবু ইউসুফ রাহ এর মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১০২)
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি থুথু মুখ থেকে বেরিয়ে যায় এবং ঐ থুথুকে টান দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করানো হয়, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।আর যদি থুথু মুখের ভিতরেই থাকে,তাহলে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না।
(২)সূরা কাফিরুন।আয়াত নং ২।
লা আ'বুদু মা-তা'বুদুন। এখানে মা-তা'বুদুন এর জায়গায় মা-তা'বুদু পড়লে যেহেতু অর্থের কোনো বিকৃতি হচ্ছে না,তাই নামায ফাসিদ হবে না।
(৩)
ইস্তিঞ্জার সময় টিসু ব্যবহার করার পর লজ্জাস্থানে আবার পানি লাগলে সেই স্থান আর নাপাক হবে না।কেননা শরীরের মধ্যে শুষে নেওয়ার যোগ্যতা রয়েছে।সুতরাং শরীর যখন শুষে নেবে,পরবর্তীতে ঐ স্থানে নাপাকি লাগলে, নাপাকি আর ফিরে আসবে না।