উত্তরঃ
بسم الله الرحمن الرحيم
.
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি নামাজের ভিতরে মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকে,যেমন সেজদাহ করার পর মনে করে যে আমার সেজদাহ সঠিক ভাবে আদায় হলো কিনা! আবার আদায় করি। রুকু করার পর মনে যে আমার রুকু সঠিক ভাবে আদায় হলো কিনা! আবার আদায় করি।
তাহলে সে ঐ দিকে আর ভ্রুক্ষেপ করবেনা।
,
নতুন করে আবার সেজদাও করবেনা,রুকুও করবেনা,বরং এই অবস্থাতেই নামাজ পুরা করে নিবে।
,
এটা সম্পূর্ণভাবে শয়তানী ওয়াসওয়াসা।
তাই মন থেকে এমন ভাব দ্রুত দুর করে দিতে হবে।
ফাতওয়ার কিতাবে এসেছেঃ
اس کو چاہیئے کہ اس کی طرف بالکل التفات نہ کرے کیونکہ یہ شیطانی وسوسہ ہے اور حدیث شریف میں اس سے بچنے کی تلقین آئی ہے
(নাজমুল ফাতওয়া ২/১৭)
অর্থাৎ তার জন্য উচিত,সেই দিকে কোনোভাবেই ভ্রুক্ষেপ না করা,কেননা এটা শয়তানী ওয়াসওয়াসা। হাদিস শরিফে এটা থেকে বাঁচার নির্দেশ এসেছে।
,
সুতরাং আপনার সেই বোনের জন্য করনীয় হলো,মন থেকে এমন দুশ্চিন্তা একদম ঝেড়ে ফেলে নিশ্চিন্তে নামাজ আদায় করা।
কোনো রুকুন সম্পর্কে এমন মনে হলে তা কোনো ভাবেই পুনরায় আদায় না করা।
,
এই ভাবে নামাজ আদায় করলে নামাজ পুনরায় আদায় করা আবশ্যকীয় হয়ে যায়,অনেকক্ষেত্রে নামাজ আদায়ই হয়না।
,
তাই শয়তানী এই ওয়াসওয়াসা অন্তর থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
,
উত্তর লিখনে
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ IOM