আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
316 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
সম্মাীত শায়েখ আস সালামু আলাইকুম।  আমি একটি সমস্যার ভিতরে পড়েছি।  সম্প্রতি evaly বা অন্য ই কমার্স নিয়ে শায়েখ আহমুদুল্লাহ একটি বলেছেন যে কোনো কোম্পানি অফার দিলে কম টাকায় সেটা যদি কবে ডেলিভারি দিবে এমন চুক্তি করা হয় কাস্টমার এর ভিতরে তাহলে সেখান থেকে পণ্য কেনা যাবে এটা শরিয়ত এ আছে।  একটি হাদিস তিনি উল্লেখ করেছেন।  পরে আরও বলেছেন যে এই ই কমার্স পন্য না দিতে পারলে চেক রিটার্ন দিচ্ছে যেমন ১০০ টাকার পন্যের দাম 50 টাকা কিন্তু পণ্য দিতে না পারায় ১০০ টাকা ভোক্তাকে ফেরত দিচ্ছে।  এটা শরিয়ত এ হারাম সুদ এ পরিনত। একটি হাদিস তিনি বলেছেন যে যত টাকা ভোক্তা দিবে 50 টাকা দিলে তাকে পন্য নিতে হবে নাহলে ৫০ টাকাই নিতে হবে 100 টাকা নিতে পারবে না এটা শরিয়ত এ নেই।

১: প্রশ্ন : ই কমার্স এ বাইকের মুল্য ১ লাখ টাকা আমি বাইক টি নিলাম তারপর আমি কারও কাছে বেচে দিলাম 1 লাখ টাকার বেশি যেহেতু শোরুমে আরও বেশি দাম তাই লোকটি আমার থেকে কিনলো।  এটা কি জায়েজ কিনা  ।আমিতো কোনো চেক নিচ্ছিনা আমি পন্য টাই নিচ্ছি পরে সেটা কারও কাচে বেচে দিচ্ছি।
২: প্রশ্ন : অনেক সময় যে শোরুম আমাকে গাড়ি দিবে তারা বলে ভাই অন্য কারও কাছে না বেচে আমাদের কাছে বেচতে পারেন আমরা কিনবো। এতে তাদের কিছু লাভ হয় বলে তারা কিনে।  এখন শোরুমে বেচতে পারবো কিনা যদি বলতেন । ফিকহ এর দৃষ্টিতে কি বলে এগুলো
৩: পণ্যকে কবজা বা হস্তগত করার পূর্বে মুসলাম ইলাইহি তথা যার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করা হয়েছে,তার নিকট বিক্রি করতে পারবেন না।হ্যা পূর্ণ কবজা করার পর বিক্রি করতে পারবেন। এটা একটু স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিবেন প্লিজ

সর্বপ্রকার বিশ্লেষণ করে যদি বলতেন আপনারা। শায়েখ এর ভিডিও বা হাদিসগুলো যদি লাগে জানাবেন আমি কমেন্ট এ দিবো।

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
আমরা পূর্বে কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ করেছি যে,        
ইসলাম ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে যে বিধি-বিধান দিয়েছে, এর অন্যতম একটি হচ্ছে, ব্যক্তি পণ্য ক্রয়ের পর কবজা করার (হস্তগত হওয়ার) পূর্বে অন্যত্র বিক্রি করতে পারবে না। 

হাদিস শরিফে কবজার পূর্বে পণ্য অন্যত্র বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 

মুহাম্মাদ ইবন সালামা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে।
(নাসায়ী ৪৫৯৬)

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الرِّبَا . فَقَالَ مَرْوَانُ مَا فَعَلْتُ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الصِّكَاكِ وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى . قَالَ فَخَطَبَ مَرْوَانُ النَّاسَ فَنَهَى عَنْ بَيْعِهَا . قَالَ سُلَيْمَانُ فَنَظَرْتُ إِلَى حَرَسٍ يَأْخُذُونَهَا مِنْ أَيْدِي النَّاسِ .

ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে দিয়েছেন? মারওয়ান বললেনঃ না, আমি তো তা করিনি। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করতে লোকদের নিষেধ করে দেন।

রাবী সুলাইমান (রহঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে। (মুসলিম ৩৭৪১.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭০৬, ইসলামিক সেন্টার ৩৭০৬)

বিস্তারিত জানুনঃ  

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 

(০১)
হ্যাঁ, আপনি সেটি গ্রহন করার পর অন্যের কাছে বিক্রয় করতে পারবেন।
সমস্যা নেই।
,
(০২)
হ্যাঁ, পন্যটি আপনার হস্তগত হওয়ার পর সেই শোরুমে পন্যটি সেল করতে পারবেন।

(০৩)
পণ্যকে কবজা বা হস্তগত করার পূর্বে মুসলাম ইলাইহি তথা যার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করা হয়েছে,তার নিকট বিক্রি করতে পারবেন না।হ্যা পূর্ণ কবজা করার পর বিক্রি করতে পারবেন। 

এখানে কবজা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নিজ মালিকানায় নিয়ে আসা,নিজ হাতে নিয়ে আসা,নিজ আয়ত্তে নিয়ে আসা।
পন্যটি এমন অবস্থায় আনা,যাতে আপনি সেই পন্যে যাচ্ছেতাই কিছু করতে পারবেন,কর্তৃপক্ষ আপনাকে  কিছুই যেনো বলতে না পারে।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  কবজা বা হস্তগত হওয়ার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো উক্ত বাইক আপনার হাতে নিয়ে আসবেন,চাবি গ্রহন করবেন।
নিজ মালিকানায় এনে যাবতীয় কাগজ সই ইত্যাদি করার পর যখন পুরোপুরি পন্যটি আপনার মালিকানায় আসবে,তখন আপনি চাইলে সেটি নিজেও চালাইতে পারেন,চাইলে তাদের কাছে বা অন্যের কাছে বিক্রয়ও করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...