(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ بْنِ رِبْعِيٍّ، أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُرَّ عَلَيْهِ بِجَنَازَةٍ فَقَالَ " مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ " . فَقَالُوا مَا الْمُسْتَرِيحُ وَمَا الْمُسْتَرَاحُ مِنْهُ قَالَ " الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِنْ نَصَبِ الدُّنْيَا وَأَذَاهَا وَالْعَبْدُ الْفَاجِرُ يَسْتَرِيحُ مِنْهُ الْعِبَادُ وَالْبِلاَدُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ " .
কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ কাতাদা ইবনু রিবয়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে দিয়ে একটি জানাজা নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বললেন, হয়তো বা এ ব্যক্তি নিস্কৃতি পাচ্ছে বা তার থেকে লোকজন নিষ্কৃতি পাচ্ছে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন যে, কেই বা নিজে নিস্কৃতি পায় আর কার কাছ থেকেই বা লোকজন নিস্কৃতি পায়? তিনি বললেন, যে মু'মিন ব্যক্তি যখন মৃত্যূবরণ করে এখন সে দুনিয়ার দুঃখ কষ্ট থেকে নিস্কৃতি পায় আর গুনাহগারের মৃত্যু হলে তার মৃত্যুতে অন্যান্য লোকজন, জনপদ, বৃক্ষরাজি এবং প্রানীকুল তার থেকে নিস্কৃতি পায়।
সহীহ : বুখারী ৬৫১২, মুসলিম ৯৫০, নাসায়ী ১৯৩০, মুয়াত্ত্বা মালিক ২৮০, আহমাদ ২২৫৭৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩০১২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৫৭৪, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৪৫৩, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৫৮৭২।
কোন অমুসলিমের মৃত্যুতে প্রয়োজনে তার নিকট আত্মীয়-স্বজনের নিকট শোক প্রকাশ করা যাবে বা তাদেরকে ধৈর্যের উপদেশ দেয়া যাবে।
(ইবনু কুদামা ২/৪১০; মুগনিউল মুহতাজ ২/৪২; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব)
তবে অমুসলিমদের কোনো পদ্ধতি মোতাবেক শোক প্রকাশ করা যাবেনা।
বৈধ পদ্ধতিতে শোক প্রকাশ করা যাবে।
,
(০২)
অমুসলিমের মৃত্যুতে চুপ থাকাই ভালো তরিকা।
কেহ যদি তাদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে ‘ইন্নালিল্লাহ..’ বলে,তাহলে সেটি নাজায়েজ নয়।
ইন্নালিল্লাহি… অর্থ “নিশ্চয় আমরা আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছি এবং আমাদেরকে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে”।
অমুসলিমরাও আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে এবং তার কাছে ফিরে যেতে হবে।
তাদের তাদের মৃত্যুতে ‘ইন্নালিল্লাহ.. বলা যাবে।
অবশ্য দুনিয়া থেকে একজন বেঈমানের সংখ্যা কমল এবং নাফরমানী হ্রাস পেল এসব বিবেচনায় ইন্নালিল্লাহি… না বলারও অবকাশ আছে।
তবে তাদের জন্য কোনো ভাবেই দোয়া,ক্ষমা প্রার্থনা করা যাবেনা।
আল্লাহ তাআলা বলেন-
مَا كَانَ لِلنَّبِیِّ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَنْ یَّسْتَغْفِرُوْا لِلْمُشْرِكِیْنَ وَ لَوْ كَانُوْۤا اُولِیْ قُرْبٰی مِنْۢ بَعْدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمْ اَنَّهُمْ اَصْحٰبُ الْجَحِیْمِ
“নবী ও যারা ঈমান এনেছে তাদের পক্ষে মুশরিকদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা সঙ্গত নয়, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন হলেই বা কি এসে যায়, যখন একথা সুষ্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামেরই উপযুক্ত।”(সূরা আত তওবা : ১১৩)