আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in সালাত(Prayer) by (60 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম, ১/ নামাজের শুরুর ওয়াক্ত থেকে আযান হওয়া পর্যন্ত আওয়ালের ওয়াক্ত কতসময় ধরা হয়?

২/নামাজের পরে প্রতি ওয়াক্তে ই কি মোনাজাত করা জরুরি? মোনাজাতে কি দোয় করবো তা বুঝে উঠতে পারিনা বা ভুলে যায় এতে করণীয়?

৩/ নিজের জন্য সর্বোউত্তম দোয়া কোনট বা প্রতি মোনাজাতে একজন ব্যক্তি কি দোয়া করবে?

৪/ কাযা রোজার নিয়তে রোজা রেখে ভেঙে ফেললে কি ২ টা রোজা কাযা করতে হবে? বা নফল রোজা রেখে ভেঙে ফেললে কি তার কাযা আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)প্রতি ওয়াক্তের পৃথক পৃথক মুস্তাহাব ওয়াক্ত রয়েছে।ফজরের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব,এবং এটাই তার আওয়াল ওয়াক্ত।জোহরের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব,এবং আসরের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব,মাগরিব ও এশার নামযকে ওয়াক্তের প্রথমে পড়া মুস্তাহাব।
এগুলো বুঝা ও বুঝানো অনেকটা মুশকিল বিষয়।সহজভাবে বলা যায় যে,আমাদের দেশে যে ওয়াক্তের যখনই আযান হয়,আযান পরবর্তী জামাতের সাথে নামায আদায় করা বা ঐ সময়ে ঘরে বা অন্য কোথাও নামায আদায় করা মানে আওয়াল ওয়াক্তেই আদায় করা। আওয়াল ওয়াক্ত কোনো বিশেষ সময় বা সেকেন্ড মিনিটের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।

(২)https://www.ifatwa.info/2089 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরামের ভিন্ন রকম পরস্পর বিরোধী মতামত পাওয়া যায়।

অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাতকে বিদ'আত আখ্যায়িত করেছেন।
(আহসানুল ফাতাওয়া , ৩য় খন্ড , পৃঃ ৬৯৮)
অন্যদিকে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কিরাম এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন।(ইমদাদুল ফাতাওয়া-১/৬৪৫ - ৬৬৬)
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য কথা হল,
যদি অাক্বিদা বিশুদ্ধ থাকে তথা এমন থাকে যে,নামাযের পর প্রচলিত মুনাজাত পদ্ধতি জরুরী কোনো বিষয় নয়,বরং ইচ্ছাধীন,তাহলে মুনাজাত বৈধ বা জায়েয।বিদ'আত ও নয় আবার মুস্তাহাব ও নয় বরং জায়েয তথা মুবাহ,করাও যেতে পারে আবার নাও করা যেতে পারে।
এই মুনাজাতের উপর পুরুস্কার-তিরস্কার কিছুই আসবে না।
এজন্য ইমাম সাহেব কর্তৃক মুসাল্লিদেরকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া উচিৎ,যাতে করে তাদের আক্বিদা- বিশ্বাস বিশুদ্ধ থাকে।মাঝেমধ্যে সম্মিলিত মুনাজাত পরিত্যাগ করাও উচিৎ,যাতে করে জনসাধারণের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয় যে,প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাত (বিধান হিসেবে)ফরয বা ওয়াজিব নয়।
বিশেষকরে উলামায়ে কেরামের জন্য মাঝেমধ্যে পরিত্যাগ করা উচিৎ এবং জরুরী।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৩৭২

(৩)নিজের জন্য সর্বদা উত্তম দু'আ হল,
দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করা এবং দুনিয়া ও আখিরাতের সকল প্রকার বিপদাপদ থেকে ক্ষমা প্রর্থনা করার দু'আ। 

(৪)কাযা রোজার নিয়তে রোজা রেখে ভেঙে ফেললে ১টা রোজা কাযা করতে হবে।এবং নফল রোজা রেখে ভেঙে ফেললে তারও কাযা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...