ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)ফরজ সালাতের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা মিলিয়ে পড়ে ফেললে অথবা অল্প একটু পরে ফেলার পর মনে পড়লে,আপনি চাইলে উক্ত আয়াত শেষ করে বা ছোট সূরা হলে সেটাকে সম্পূর্ণ তিলাওয়াত করে রু'কু করতে পারেন।যেহেতু ফরয নামাযের শেষ দুই রা'কাতে কুরআন তিলাওয়াত সুন্নত।তাই সম্পূর্ণটা পড়ে নেয়াই ভালো হবে।এ জন্য সাহু সিজদা আসবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/855
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরজ নামাজে ৩য়/৪র্থ রাকাআতে সুরা ফাতিহার পর বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলে ফেললে কি নামাজ ফাসিদ হবে না।চায় ভুলে হোক বা ইচ্ছায় হোক।নামায কখনই ফাসিদ হবে না।
(২)ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক ইচ্ছাকৃত এক মুহূর্তের জন্য খুললেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃত এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিক খুলে যায়, তাহলে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এক-চতুর্থাংশের কম হলে চাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় নামাজ নষ্ট হবে না।যদি একাধিক জায়গায় সামান্য করে খোলা থাকে,
তাহলে এর সমষ্টি ছোট একটি অঙ্গের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ হলেও নামাজ হবে না- (রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৯,তাবয়ীনুল হাক্বায়েক্ব ১/৯৭)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/5215
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা গলা একটি অঙ্গ,এর চতুর্থাংশ অনিচ্ছায় তিন তাসবীহ পরিমাণ বের হলেই কেবল নামায ফাসিদ হবে।
(৩) দুয়েকটি চুল অনিচ্ছায় বের হলে সামায ফাসিদ হবে না।হ্যা ইচ্ছাকৃত এক চতুর্থাংশ বের হলেই কেবল নামায ফাসিদ হবে।
(৪)লিমান হামিদাহ এ ভুল হলো তখন আবার দম ছেড়ে শুদ্ধ করে লিমান হামিদাহ বললেই হবে। সামি আল্লাহু থেকে বলতে হবে না। আর সামি আল্লাহু থেকে ভুল হয়, তাহলে তো শুরু থেকেই আবার বলতে হবে।
(৫)রুকুতে বা সিজদাহ্ এ তাসবীহ বলার সময়ও যদি কখনো মনে হয় যে মাখরাজ ভুল হয়েছে,তখন রুকু বা সিজদাহ্ এ থাকাবস্থায় ই সেটা আবার বলা যাবে। এতে চার বার বা জোড় সংখ্যা হবে না।
(৬)রু'কু সিজদার তাসবিহাত বেজোড় সংখ্যায় পড়তে হয়।সেই সংখ্যা তিন বা পাঁচ কিংবা সাত ও নয় হতে পারে। এবং এক্ষেত্রে রু'কু সিজদাতে সমান সমান হওয়া জরুরী নয়।তবে হ্যা, উত্তম এটাই যে,রু'কু ও সিজদাতে সমান সমান হবে।
(৭)আগে হাত তুলাই সঠিক পদ্ধতি।তবে তাকবীরের সাথে সাথে হাত তুললে,সেই নামায ফাসিদ হবে না।
(৮)রব্বিগফিরলি এবং আল্লাহুম্মাগফিরলি উভয়টার অর্থ একই(হে রর/হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করো।। সুতরাং একটার স্থলে অন্যটা পড়লে নামায ফাসিদ হবে না। এবং যেকোনো একটা পড়া যায়।
(১০)সিজদাহ্ এ কপাল মাটিতে জায়নামাযে রাখার পর যদি সমান্তরাল মনে না হওয়ায়/কোনো কারণে সিজদাহ্ অবস্থায় সাথে সাথে কপাল সামান্য তুলে আবার জায়নামাযে রাখা হয় এতে নামাজ ভেঙে যাবে না। মাঝে মাঝে এমন হলে প্রথম থেকেই সমান্তরাল জায়গা বাছাই করে তারপর নামাযে দাড়াতে হবে।
(১১)ওজুবস্থায় সালোয়ার/ড্রেস চেঞ্জ করলে অজু ভেঙে যাবে না। তাছাড়া ওজু থাকাবস্থায় টিস্যু বা অন্য কিছু দ্বারা যদি চেক করা হয় যে সাদাস্রাব হলো কিনা? তাতেও ওজু ভঙ্গ হবে না।