আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
146 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (75 points)

১।পায়খানার কমোটে পা রাখার স্থানে পায়খানা বা প্রশাব শেষে পানি ব্যবহার করার সময় পানির ছিটা পরে।তখন পানি ঢেলে ঐ জায়গা ধোয়ার সময় পানি পায়খানায় ব্যবহিত জুতা ঘেঁসে বা জুতার নিচ দিয়ে চলে যায় ;এতে কি জুতা নাপাক হবে?

 

২।নামাযে অনেক সময় সূরা তিলওয়াত এর ক্ষেত্রে মনে হয় কিছু হরফ উচ্চারনে সমস্যা হয়েছে।তখন ঐ অংশ আবার পরি,অনেক সময় সুরার শুরুতেও হয়,বিশেষ করে চার কুল পড়ার সময়(কফ উচ্চারনের সময়)।অনেক সময় দুই -তিনবার উচ্চারণ করা লাগে।এতে কি নামাযে সমস্যা হবে।

by (75 points)
edited by
+1

আরেকটু জিজ্ঞাসা


১।হাতের নাপাকি ধোয়ার সময়,যদি পাশে রাখা কাঠের বা পাষ্টিকের ফার্নিচারে সামান্য ছিটা পড়ে।এবং তা যদি কাপড় ভিজিয়ে কয়েকবার মুছা হয়।তাহলে কি আর কোন সমস্যা আছে


২।আমাদের বাসার গেটের সমনে এক বাচ্চা প্রশাব করে।বৃষ্টি এসে যদি গেটের ঐ খানে পানি দিয়ে ভরে যায় এবং প্রশাব ঐ পানির সাথে মিশে যায় তাহলে কি পুরো পানি নাপাক হয়ে যাবে? বৃষ্টির সময় গেটের সামনে অনেকক্ষন পানি জমে থাকে।আস্তে আস্তে শুকায়।

1 Answer

0 votes
by (589,650 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) যদি তাতে নাপাক পানির ছিটা পড়ে তাহলে ঐ পানি নাপাক। সুতরাং ঐ পানি যখন পায়ে লাগবে, উক্ত পা ও নাপাক হয়ে যাবে। 

(২) https://www.ifatwa.info/1126 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ» " مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, কুরআন সম্পর্কে বিজ্ঞজনদের হাশর হবে, আ'মলনামা লিখক পবিত্রতম ফিরিস্তাদের সাথে। আর যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে আটকে যায় এবং এমন অবস্থায় সে কুরআনকে পড় যে, কুরআনের উচ্ছারণ তার জন্য কষ্টকর লাগে।সে ব্যক্তি দু'টি সওয়াব পাবে।(প্রথম সওয়াব পাবে পড়ার জন্য এবং দ্বিতীয় সওয়াব পাবে কষ্ট করে পড়ার জন্য)(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১১২)
দেখুন-(মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-১০/১৭৮)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
হাদীসের বর্ণনা 'কুরআন পড়তে আটকিয়ে যাওয়া' 
উক্ত হাদীসে বর্ণিত ব্যক্তিটি নিশ্চয় পূর্ণ তাজবিদকে রপ্ত করতে পারেনি কেননা সে তো ঠিকমত পড়তেই পারছেনা বরং পড়তে গিয়ে আটকিয়ে যাচ্ছে।এরপরও সে হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী দু'টি সওয়াবের অংশীদার হবে।এত্থেকে বুঝা গেল যে, মুস্তাহাব পর্যায়ের তাজবিদকে ছেড়ে দিয়ে কুরআন পড়তে কোনো অসুবিধে নেই।এবং এতে  কোনো প্রকার গোনাহও হবে না।হ্যা জরুরী পর্যায়ের তাজবিদ তাকে শিখতে হবে।
বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ,বলেন,
হুরুফে মুতাশাবিহাত তথা সামঞ্জস্যশীল হরফ যেমন, ظ. ض  ذ .ز  س.ص.ث. ط. ت. এর মধ্যকার উচ্ছারণ পার্থক্য  জানা ও আদায় করা ফরয। তাছাড়া অন্যান্য কায়েদা যেমন এজহারের কায়দা, এখফার কায়েদা জানা ও সে অনুযায়ী আ'মল করা মুস্তাহাব। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি আপনি কোনো রকম উচ্ছারণ করে নিতে পারেন, পূর্ণ তাজবীদ সহকারে না হয়, তাহলে উক্ত কিরাতকে দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজন নাই, বরং আপনার কিরাত দ্বারা নামায আদায় হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...