ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সুদী ব্যাংক সমূহে একাউন্ট খুলে টাকা গচ্ছিত রাখা যাবে কি না?
এ সম্পর্কে বলা যায় যে,বর্তমান সময়ে বাসায় টাকা-পয়সা রাখা অনেকটা অনিরাপদ।অন্যদিকে সুদ হারাম,এবং সুদী কাজে সাহায্য করাও হারাম।
তাই বলা যায় যে,এসমস্ত ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টে টাকা রাখা যাবে না।কেননা তখন ব্যাংক কর্তৃত আইনগতভাবে উক্ত টাকা সুদী কারবারে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও ব্যাংক চাহিবামাত্র গ্রাহককে উক্ত টাকা দিতে বাধ্য থাকে।
এজন্যই উলামায়ে কেরাম পরামর্শ দেন যে,উক্ত ব্যাংক সমূহে কারেন্ট একাউন্ট খুলে টাকা রাখতে হবে।কেননা কারেন্ট একাউন্টের টাকা আইনগতভাবে ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেনা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-৭৫৩
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ব্যাংক সমূহে টাকা গচ্ছিত না রাখাই মূল বিধান।চায় নামধারী ইসলামী ব্যাংক হোক বা সুদী ব্যাংক হোক।এবং চায় সেভিংস একাউন্ট হোক বা কারেন্ট একাউন্ট হোক।কেননা এদ্বারা সুদী কারবারে সহযোগিতা করা হচ্ছে।তবে যেহেতু বাসায় বা পকেটে টাকা রাখা বর্তমানে অনিরাপদ।তাই উলামায়ে কেরাম কারেন্ট একাউন্টে টাকা গচ্ছিত রাখার রুখসত দিয়ে থাকেন।কারেন্ট একাউন্ট খোলা সম্ভব না হলে,সুদ গ্রহণ না করার শর্তে সেভিংস একাউন্ট খোলারও অনুমোদন ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।
সুদী ব্যাংকে ইসলামিক একাউন্ট এবং সুদী একাউন্ট কিভাবে সম্ভব?
হয়তো এমন হতে পারে যে,সুদবিহীন একাউন্টের টাকা তারা কোনো কাজে লাগাবে না।এবং এর বিনিময়ে সুদও তারা দিবে না।আর সুদসহ একাউন্টের টাকাকে তারা সুদি কারবারে লাগাবে,এবং গ্রাহক তথা টাকার মালিককে তারা কিঞ্চিৎ সুদও দিবে।এমনটা সম্ভব রয়েছে।
অথবা তারা গ্রাহকদেরকে কাছে ভিড়ানোর জন্য মিথ্যা বলছে,এমনটাও হতে পারো।বাস্তবে তারা সুদ না দিলেও ইসলামিক একাউন্টের টাকাকে সুদি কারবারে লাগিয়ে থাকে।
(২) জ্বী, দিতে পারেন। কেননা মু’মিনের প্রতি নেক ধারণা রাখাই প্রত্যেকের উচিৎ।
(৩) প্রশ্নটি বুঝিনি। দয়া করে নতুন প্রশ্ন না করে কমেন্টে প্রশ্নটিকে ইডিট করে দিবেন।