আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ
১)আমার খালু বাসায় আসলে আমার কি সম্পূর্ণ পর্দা করে তার সাথে দেখা করতেই হবে?

২)আমি যদি একেবারেই দেখা না করি,,কথাও না বলি,,,কিছুই না করি তা হলে কি আমার গুনাহ হবে?

৩) অন্যান্য যেকোনো আমার পরিবারের গাইরে মাহরামদের সাথেও যদি দেখা না করি প্রয়োজন ছাড়া অধিকাংশ সময় তাহলে কি তা বাড়াবাড়ি হবে?

৪)আমাদের দেশে বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল এর ভিত্তিতে বৃত্তির প্রাক্টিস আছে।আমি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ করেছি।এর জন্য কিছু টাকা পাই বছরে।কিন্তু পরীক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে অন্যের সাহায্য নিয়েছি।অন্যকে সাহায্যও করেছি।তবে একেবারেই এমন নয় যে অন্যের দেখেই পুরো এক্সাম দিয়েছি।

##এই পরীক্ষার ফলস্বরূপ যে টাকা আমি পাই, তা কি ব্যবহার করতে পারব?

##এটি কি আমার জন্য হারাম হবে?

৫)গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক এর ফলাফল হয়েছে বিগত বছরের ২টি বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলের বিবেচনায়।সে ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি।এখন এই ফলাফলের ভিত্তিতে যে টাকা পাবো এটির ক্ষেত্রে হুকুম কি হবে?

##এই পরীক্ষার ফলস্বরূপ যে টাকা আমি পাব, তা কি ব্যবহার করতে পারব?
##এটি কি আমার জন্য হারাম হবে ?

৬)পরীক্ষায় কারো সাহায্য নিলাম না,,,কিন্তু যদি কাউকে সাহায্য করি এতে কি গুনাহ হবে?আমার কি করণীয় ?

1 Answer

0 votes
by (697,760 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) আমার খালু বাসায় আসলে আপনাকে সম্পূর্ণ পর্দা করতে হবে। তার সাথে বিনা প্রয়োজনে কথাবার্তা ও দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবেন না। 
(২) আপনি যদি একেবারেই দেখা না করেন,,কথাও না বলেন, এবং কিছুই না করেন, তাহলে আপনার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না। 
(৩) পরিবারের অন্যান্য যেকোনো গাইরে মাহরামদের সাথেও যদি দেখা না করেন, এবং প্রয়োজন ছাড়া অধিকাংশ সময় কথাবার্তা না বলেন, তাহলে তা বাড়াবাড়ি হবে না। 
(৪) আপনি যা অন্যর কাছ থেকে সাহায্য নিয়েছেন, তা যদি আপনার বিত্তির জন্য জরুরী হয়ে থাকে, অর্থাৎ আপনি যদি আপনার পরীক্ষায় বিত্তির মার্ক পাওয়া পরিমাণ কারো সাহায্য নিয়ে থাকে, তথা আপনার এই সাহায্যর কারণেই যদি আপনি বিত্তি পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য উক্ত বিত্তির টাকা গ্রহণ করা জায়েয হবে না। কিন্তু যদি আপনার সাহায্য গ্রহণ বিত্তির জন্য সহায়ক না হয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য উক্ত বিত্তির টাকা গ্রহণ করা জায়েয হবে।  
(৫) যেহেতু স্কুল কর্তৃপক্ষ আপনাকে তা দিচ্ছে, তাই আপনার জন্য উক্ত টাকা নাজায়েয হবে না। 
(৬) পরীক্ষার কারো সাহায্য নেওয়া এবং কাউকে সাহায্য করা উভয়ই গোনাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...