স্বামী স্ত্রী একে অপরের যৌনাঙ্গ দেখা জায়িয হলেও তা অনুত্তম।
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন
إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ فَلْيَسْتَتِرْ وَلاَ يَتَجَرَّدْ تَجَرُّدَ الْعَيْرَيْنِ
তোমাদের কেউ যখন স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করে, তখন সে যেনো আবৃত থাকে, গাধা যুগলের মতো যেনো একেবারে নগ্ন না হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ— ১/৬১৯, ১৯২১}
আম্মিজান আয়িশা রা. বলেন—
مَا رَأَيْتُهُ مِنْ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلاَ رَآهُ مِنِّي
আমি রাসুলুল্লাহর সা. এর থেকে তা কখনো দেখিনি এবং তিনিও আমার থেকে কখনো তা দেখেননি। {সুনানে ইবনে মাজাহ)
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَدِمَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ الْمَدِينَةَ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِىْ بَيْتِىْ فَأَتَاهُ فَقَرَعَ الْبَابَ فقامَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُرْيَانًا يَجُرُّ ثَوْبَه وَاللهِ مَا رَأَيْتُه عُرْيَانًا قَبْلَه وَلَا بَعْدَه فَاعْتَنَقَه وَقَبَّلَه. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়দ ইবনু হারিসাহ্ মাদীনায় আগমন করলেন। এ সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে ছিলেন। যায়দ ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ) এসে ঘরের দরজায় আওয়াজ করলেন, তখনই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খালি গায়ে চাদর টানতে টানতে তাঁর কাছে গেলেন। (‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেনঃ) আল্লাহর কসম! আমি তাঁকে এর পূর্বে বা পরে কখনো খালি গায়ে দেখিনি। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে আলিঙ্গন করলেন এবং তাঁকে চুম্বন করলেন।
(তিরমিযী ২৭৩২,মিশকাতুল মাসাবিহ ৪৬৮২)
যৌনাঙ্গ স্পর্শ করা স্পষ্ট জায়িয।
ফাতাওয়া শামিতে বলা হয়েছে
سَأَل أَبُو يُوسُفَ أَبَا حَنِيفَةَ عَنِ الرَّجُل يَمَسُّ فَرْجَ امْرَأَتِهِ وَهِيَ تَمَسُّ فَرْجَهُ لِيَتَحَرَّكَ عَلَيْهَا هَل تَرَى بِذَلِكَ بَأْسًا؟ قَال: لاَ، وَأَرْجُو أَنْ يَعْظُمَ الأْجْرُ .
ইমাম আবু ইউসুফ আবু হানিফা রহ. কে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, যে তার স্ত্রীর যৌনাঙ্গ স্পর্শ করে এবং স্ত্রী তার যৌনাঙ্গ স্পর্শ করে, যেনো স্ত্রীর ওপর স্বামীর প্রবল আকর্ষণ জাগে— আপনি কি তাতে কোনো সমস্যা দেখেন? ইমাম আবু হানিফা রহ. বললেন, না, বরং আমি আশা করি, তাদের প্রতিদান আরো বেড়ে যাবে।
( ফাতাওয়া শামি— ৫/২৩৪)
ওরাল সেক্স এর বিধান জানুনঃ