জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের দৃষ্টিতে পুরুষ মহিলার যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করাকে সহবাস বলা হয়।
আবু যার রাযি. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে,
وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ؟ قَالَ : أَرَأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ فَكَذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلاَلِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ
স্ত্রী সহবাসও সদকা। তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কেউ যদিস্ত্রী সহবাস এতেও কি সে সাওয়াব পাবে? তিনি বললেন, তোমরা কি মনে কর যদি সে কামাচার করে হারাম পথে তাতে কি তার গুনাহ হবে না? অনুরূপভাবে যদি সে কামাচার করে হালাল পথে তবে সে সাওয়াব পাবে। (মুসলিম ২২০১)
★এখানে بُضْعِ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে,যার অর্থ হলো মহিলার যোনি।
সুতরাং যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ না করালে সেটি সহবাস হবেনা।
সহবাসের শুরু করার সময় দোয়া পড়ার কথা এসেছে।
بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমাদেরকে তুমি শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে তুমি যা দান করবে (মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে) তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখ।’
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, এরপরে যদি তাদের দু’জনের মাঝে কিছু ফল দেয়া হয় অথবা বাচ্চা পয়দা হয়, তাকে শয়তান কখনো ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারী ৪৭৮৭)
★এখানে দোয়া পড়ার কথা এই জন্য বলা হচ্ছে,যাতে এ সহবাসের দ্বারা সন্তান জন্ম নিলে যেনো তাকে শয়তান কখনো ক্ষতি করতে না পারে।
আর একথা স্পষ্ট যে যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ না করালে পুরুষের বীর্য মহিলার যোনিতে যাবেনা,তাই বাচ্চাও হবেনা।
সুতরাং যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ না করালে সেটি সহবাস হবেনা।
★সহবাসের সময় শৃঙ্গার তথা চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদি করাকে ফোর প্লে বলা হয়।
হাদিসে এসেছে,
كان رسول الله ﷺ يُلاعبُ أهله ، ويُقَبلُها
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন। (যাদুল মা’আদ ৪/২৫৩)
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
লিঙ্গ প্রবেশ ব্যতীত অন্যান্য সকল কিছু সহবাসের অন্তর্ভূক্ত নয়।
স্ত্রীর পেট বা পিঠে বা নিতম্বে ঘর্ষণে বীর্যপাত করা শরয়ী মাসয়ালার দিক থেকে সহবাসের অন্তর্ভূক্ত নয়।
তবে এতেও গোসল ফরজ হবে।