আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১. বাবা মা এর হক, আত্মীয় স্বজন এর হক আর প্রতিবেশীর হক সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম। তাদের হক গুলো কি কি?
২. আমার পরিবার, আত্মীয় স্বজন রা নন প্র‍্যাক্টিসিং।  আত্মীয়ের বাসায় গেলে নিকাব, হাত মোজা পা মোজা পড়া থাকলেও ফ্রি মিক্সিং এভোয়েড করা টা টাফ হয়ে যায়। যদিও এখন তেমন একটা যাওয়া হয়না করোনার জন্য।  কিন্তু বিষয়টা নিয়ে চিন্তা হয় যে কিভাবে কি করবো! আমাকে একটু পরামর্শ দিন যে আমি কিভাবে কি করতে পারি। আমি যদি ফ্রি মিক্সিং এভোয়েড করতে আত্মীয় দের বাসায় না যাই তাহলে কি গুনাহ হবে? আমি পর্দা শুরু করার পর কারোর বাসায় না গেলে তারা বলে যে পর্দা করলে কি আত্মীয়ের বাসায় আসা যায়না? কিন্তু তারা আমার পর্দা সহকারে থাকার সুবিধা করতে পারেনা। ফ্রি মিক্সিং আর খাবার খাওয়ার সময় নন মাহরাম এর আনাগোনা থাকে! ফ্রি মিক্সিং হয়ে যায়।
৩. অননুমোদিত পিডিএফ পড়া জায়েজ নেই জানতাম, তাই এই বিষয় এ সতর্ক থাকার চেস্টা করি। বেশ কিছুদিন আগে ইউটিউব এ একটা চ্যানেল দেখেছি সেখানে ইসলামিক অডিওবুক দেয়া হয়। অডিওবুক গুলো যে অনুমতি না থাকলে শোনা যায়না এটা প্রথমে বুঝতে পারিনি। আমি একটা বইয়ের কিছু শুনেছিলাম এবং সেটা আমার এক বান্ধবীকে দিয়েছিলাম। পরে আমার মাথায় আসলো যে অনুমতি ছাড়া শোনা যায় নাকি এটির বিষয় এ সন্দিহান ছিলাম। আপনাদের ওয়েবসাইট এর ফতোয়াতে দেখলাম যে জায়েজ নেই। এখন আমি প্রথমে না বুঝতে না পারায় শুনে ফেলেছিলাম আর বান্ধবীকে দিয়েছিলাম। বুঝার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিষয় এ সতর্ক থাকবো ইনশাআল্লাহ । এখন আমি যে প্রথমে না বুঝে শুনেছিলাম এর জন্য তওবা করলে কি গুনাহ মাফ হবে? যেহেতু ব্যক্তির হকের সাথে জড়িত!

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
মা বাবার সর্বদায় আনুগত্য করতে হবে,তাদের কথার নাফরমানী করা যাবেনা।
তাদের সাথে সর্বদায় ভালো ব্যবহার করতে হবে।

তারা কষ্ট পায়,এমন কাজ কখনোও করা যাবেনা।
তাদের হক বা অধিকারসমূহ এবং তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব বা আবশ্যক।

 পিতামাতার খরচ বহন করা; তাদের খোঁজ-খবর নেয়া; প্রয়োজনের সময় বিশেষ করে বার্ধক্যে তাদের পাশে থাকা আবশ্যক ।

মাতাপিতার দেখভাল করা ও তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা শরীয়ত কর্তৃক ফরয ঘোষনা করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

أن جاهمة جاء إلى النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله، أردت أن أغزو وقد جئت أستشيرك، فقال: «هل لك من أم؟» قال: نعم، قال: «فالزمها، فإن الجنة تحت رجليها»

“হযরত জাহিমাহ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি যুদ্ধে অংশগ্রহণের ইচ্ছা করেছি, আপনার কাছে পরামর্শ নিতে এসেছি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, “তোমার কি মা আছেন?” সাহাবী জবাব দিলেন, “হ্যাঁ!”। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, “তাঁর সেবাকে নিজের উপর আবশ্যক করে নাও। নিশ্চয়ই তাঁর দুই পায়ের নিচে রয়েছে জান্নাত।” (সুনানে নাসাঈ: ৩১০৪)

আরো জানুনঃ  

আত্মীয়দের হক সম্পদ জানুনঃ
,
প্রতিবেশির হক সম্পর্কে জানুনঃ 
,
(০২)
আত্মীয়ের বাসায় গেলে পর্দার সমস্যা হলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  আপনি ফ্রি মিক্সিং এভোয়েড করতে আত্মীয় দের বাসায় না গেলে তাহলে গুনাহ হবেনা।
ফোনে যোগাযোগ খোজ খবর রাখবেন।
বিশেষ প্রয়োজনে যেতে হলে নন মাহরামের সামনে  পর্দা সহকারে সম্মুখীন হবেন। যেহেতু খুবই সমস্যাকর,তাই অল্প সময় থাকার চেষ্টা করবেন। 
তারা কোনো কিছু বললে বলবেন যে আমার পর্দার সমস্যার কারনে আমি বেশি সময় দিতে পারছিনা।
(০৩)
যদি মূল লেখক বা প্রকাশকের পক্ষ থেকে আসলে অনুমতি না দেওয়া থাকে,তাহলে আপনি 
এক্ষেত্রে তওবা করবেন।  
গুনাহ মাফ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...