বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি যদি ইসলাম ও মুসলমান এবং দেশ রক্ষার স্বার্থে জেনারেল শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন,তাহলে আপনি উক্ত জেনারেল শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।উক্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে যেয়ে যদি কোনো কুফরি আলোচনা সামনে আসে,তাহলে যথাসম্ভব তা এড়িয়ে যেতে হবে।
(২)
আপনি দুনিয়াবী ইলম শিক্ষার পাশাপাশি দ্বীনি ইলমও ফরয পরিমাণ শিক্ষাগ্রহণ করার চেষ্টা করবেন।
কতোটুকু জ্ঞান অর্জন করাটা ফরয?কী কী জিনিষ এই ফরজ ইলমের অন্তর্ভুক্ত? এবং কোন কোন বিষয়?
এর উত্তর হচ্ছে,আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয।যেমন,নামায আল্লাহর ফরয বিধান,নামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত।তাই পবিত্রতার ইলম অর্জন ফরয।ঠিকতেমনি কেরাত ফরয, তাই কেরাত শিক্ষা ফরয।ঈমান আনয়নের জন্য শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণেএকমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয।তাই এ সম্পর্কীয় ইলম অর্জন ফরয।এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান।রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।ইত্যাদি ইত্যাদি।