আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
edited by

আমরা সিলেটি। আমার আম্মার বয়স ৪০ বছর। শরীয়তের জ্ঞান তেমন নাই। সাধারন মানুষের মতন।

আজ আমার বড় ভাই নামাজ মিস দিয়েছে। আমার বোন মা-কে বিচার দিলো। 

আম্মা উত্তরে উঠে বললেন,"কবরে তো আমি সাথে যাবো না।  আল্লহ বেটা সাথে যাবেন। তখন বুজবা।"

আমার আম্মা উপরের কথার দ্বারা আম্মার ঈমান ভংগের কোনো কারন হবে কি? যেহেতু উনি মহান আল্লহ কে বেটা বলে উল্লেখ করেছন। 

(বিঃদ্রঃ আমাদের অঞ্চলে আরও মুরব্বিরা , মহান আল্লহ এর শানে বেটা শব্দ ব্যবহার করে থাকে)

সিলেটি বেটা শব্দের বাংলা শুদ্দ্ব অর্থ হলো === পুরুষ কে বুজায়।

তো আমার আম্মার উপোরক্ত কথার কারনে উনার ঈমানের কনো সমস্যা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


রাসূল সাঃ হাদীসে মুসলমান হওয়ার পরিচয় দিয়েছেন। 
عن أنس بن مالك قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( من صلى صلاتنا واستقبل قبلتنا وأكل ذبيحتنا فذلك المسلم 

অনুবাদ-হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আমাদের মত নামায পড়ে, আমাদের কিবলাকেই কিবলা নির্ধারণ করে, এবং আমাদের জবাইকৃত পশু খায়, সে মুসলমান। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৮৪}

হাদীসে রাসূল সাঃ যে ব্যক্তি কাফের না তাকে কাফের বললে, সেই কুফরী নিজের দিকে প্রত্যাবর্তন করে মর্মে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন-

عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك 

হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮}

আরো জানুনঃ 

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মায়ের  ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
তবে মহান আল্লাহ তায়ালার শানে এহেন বাক্য বলা থেকে বিরত থাকতে হবে,তওবা করতে হবে।        


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...