ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কর্মব্যস্ততায় কুরআন শ্রবণ না করলে কি গোনাহ হবে?
ويعذر المستمع بترك الاستماع لتلاوةالقرآن الكريم، ولا يكون آثما بذلك - بل الآثم هو التالي، على ما ذكره ابن عابدين - إذا وقعت التلاوة بصوت مرتفع في أماكن الاشتغال، والمستمع في حالة اشتغال، كالأسواق التي بنيت ليتعاطى فيها الناس أسباب الرزق، والبيوت في حالة تعاطي أهل البيت أعمالهم من كنس وطبخ ونحو ذلك وفي حضرة ناس يتدارسون الفقه، وفي المساجد، لأن المساجد إنما بنيت للصلاة، وقراءة القرآن تبع للصلاة، فلا تترك الصلاة لسماع القرآن فيه. وإنما سقط إثم ترك الاستماع للقرآن في حالات الاشتغال دفعا للحرج عن الناس. قال تعالى - {وما جعل عليكم في الدين من حرجvvb} وإنما أثم القارئ بذلك، لأنه مضيع لحرمة القرآن.
যদি কেউ কাজে লিপ্ত থাকার ধরুণ কুরআন শ্রবণ করতে না পারে, তাহলে এমতাবস্থায় কুরআনের তেলাওয়াত শুনাকে তরক করার ব্যাপারে ঐ ব্যক্তি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবে।সে গোনাহগার হবে না।বরং ইবনে আবেদীন শামী রাহ এর মতে এক্ষেত্রে তেলাওয়াত কারীই গোনাহগার হিসেবে গণ্য হবে।যদি কেউ ব্যস্ত এলাকায় উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করে,আর তথায় লেকজন কাজে মশগুল থাকে।যেমন বাজারে-যাকে লেনদেনের জন্যই তৈরী করা হয়েছে- এবং ঐ ঘরে -যাতে লোকজন রান্নাবান্না, ঝাড়ু সহ বিভিন্ন কাজে লিপ্ত- কিংবা এ এমন কোনো মজলিসে যেখানের লোকজন ফিকহ শিখায় ব্যস্ত অথবা মসজিদে -যা নামাযের জন্য তৈরী হয়েছে।(সুতরাং এমন স্থান সমূহে তেলাওয়াত না শুনলে শ্রবণকারী গোনাহগার হবে না)
তেলাওয়াতে কুরআন নামাযের তা'বে। সুতরাং তেলাওয়াতে কুরআনের জন্য নামাযকে পরিত্যাগ করা যাবে না।ব্যস্ততার সময়ে কুরআন শ্রবণ না করলে গোনাহ হবে না।এজন্য যে, যাতেকরে লোকজনের উপর সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া না হয়।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ
তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। (সূরা হাজ্ব-৭৮)এক্ষেত্রে তেলাওয়াত কারীই গোনাহগার হবেন।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪/৮৬)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি কুরআন তিলাওয়াত করার জন্য ভিন্ন কোনো জায়গা না পান,তাহলে তলনামূলক একটু নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করবেন।এবং এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।এবং আপনার বোনের তো গোনাহ হবেই না।