আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
340 views
in সালাত(Prayer) by (45 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম । আমি নামাজে দাঁড়ানোর কিছুক্ষণ পরেই প্রচুর হাই আসে  যার কারণে নামাজে মনোযোগ দিতে পারি না। কয়েকবার হাই তুলতে গিয়ে চোয়ালের পেশীতে টান পড়ে গিয়েছিলো যার কারণে প্রচুর ব্যথা পেয়েছিলাম । এই বেশী হাই তোলা থেকে বাঁচার কোনো দোয়া রয়েছে বা কোনো আমল কি রয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, 
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ التَّثَاؤُبُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَالَ هَا ضَحِكَ الشَّيْطَانُ
নবী (সা.) বলেছেন, হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। কাজেই তোমাদের কারো যখন হাই আসবে যথাসম্ভব তা রোধ করবে। কারণ তোমাদের কেউ হাই তোলার সময় যখন ‘হাঁ’ বলে, তখন শয়তান হাসতে থাকে। (বুখারি, হাদিস : ৩২৮৯)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, 
 عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعُطَاسَ وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ، فَإِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ وَحَمِدَ اللَّهَ كَانَ حَقًّا عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ سَمِعَهُ أَنْ يَقُولَ لَهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ. وَأَمَّا التَّثَاؤُبُ فَإِنَّمَا هُوَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَإِذَا تَثَاوَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَثَاءَبَ ضَحِكَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ ".
রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা হাঁচি দেওয়া পছন্দ করেন, আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। যদি তোমাদের কেউ হাঁচি দিয়ে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে, তবে প্রত্যেক মুসলিম শ্রোতার তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা ওয়াজিব। আর হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। কাজেই তোমাদের কোনো ব্যক্তির হাই উঠলে সে যেন যথাসম্ভব তা রোধ করে। কেননা কেউ হাই তুললে শয়তান তার প্রতি হাসে। (বুখারি, হাদিস : ৬২২৬)

ভারতের মুম্বাইরের ইউনিক হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর জুবিন ভাইদ বলেন, ‘হাই আটকানোর সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হচ্ছে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া ও একটু বেশি সময় ধরে শ্বাস ছাড়া। বুকের বদলে পেটের পেশি ব্যবহার করা। হাই না থামা পর্যন্ত এটা করতে থাকলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। হাই এলে নিজের জীবনের কিছু পুরনো ভালো স্মৃতি, যেগুলো আপনাকে আনন্দ দেয়, সেগুলো মনে করতে পারেন। কিংবা এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানীয়ও নিতে পারেন। চুইংগামও এসব পরিস্থিতিতে ভালো উপকার দেয়।’

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাজের ভেতর হাই উঠলে যেহেতু পানি পান করা কিংবা পুরনো স্মৃতি মনে করার সুযোগ নেই, তাই গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার কৌশলটি অবলম্বন করা যেতে পারে। এ ছাড়া বিনম্র হয়ে নামাজে মনোযোগী হলেও হাই উঠা বন্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...