জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী চামড়ার মোজার উপর মাসেহ জায়েয আছে।
হযরত মুগিরা ইবনে শু'বা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن المغيرة بن شعبة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم مسح على الخفين، فقلت: يا رسول الله أنسيت؟، قال: «بل أنت نسيت، بهذا أمرني ربي عز وجل»
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুজার উপর মাসেহ করলেন।আমি তখন বললাম,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাম! আপনি কি পা'কে ধৌত করতে ভূলে গিয়েছেন।তখন তিনি বললেন,না বরং তুমিই আল্লাহ বিধানকে ভূলে গেছো।(সুনানু আবু-দাউদ-১৫৬)
কিন্তু চামড়া ছাড়া সুতা বা পশমের তৈরি যেসব মোজা সচরাচর পাওয়া যায় এর উপর মাসেহ সহীহ নয়।
,
মোজার ওপর মাসেহ বাতিলকারী বিষয়সমূহর মধ্যে অন্যতম হলোঃ
উভয় মোজা অথবা যেকোনো একটি খুলে ফেলা,যার দ্বারা পায়ের অধিকাংশ অংশ খুলে যায়।
فتاوی شامی :
"(وخروج أكثر قدميه) من الخف الشرعي، وكذا إخراجه ( نزع ) في الأصح؛ اعتباراً للأكثر، ولا عبرة بخروج عقبه ودخوله، وما روي من النقض بزوال عقبه فمقيد بما إذا كان بنية نزع الخف، أما إذا لم يكن أي زوال عقبه بنيته بل لسعة أو غيرها فلاينقض بالإجماع، كما يعلم من البرجندي معزياً للنهاية وكذا القهستاني". (1/276)
সারমর্মঃ মোজার উপর মাসাহ বাতিল হওয়ার কারন গুলোর মধ্য হতে একটি হলোঃ পায়ের অধিকাংশ অংশ বের হয়ে যাওয়া,অথবা বের করে ফেলা।
তাহলে মাসাহ বাতিল হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উল্লেখিত মতটি হানাফী মাযহাব মতে।
অন্যান্য অনেক ইমাম গন এই মতের উপরেই রয়েছেন।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলো এই ক্ষেত্রে মোযা খুলে ফেললে মাসাহ বাতিল হবেনা।
সুতরাং তাদের মতানুসারীগন এই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
روى ابن أبي شيبه عن أبي ظبيان قال رأيت علياً بال قائماً ،ثم توضأ ، ومسح على نعليه ، ثم أقام المؤذن فخلعهما _ زاد البيهقي _ ثم تقدم فأمَّ الناس)
সারমর্মঃ
আলী রাঃ দাড়িয়ে পেশাব করলেন,অতঃপর অযু করলেন,অতঃপর জুতার উপর মাসাহ করলেন,অতঃপর মুয়াজ্জিন দাড়িয়ে গেলে (ইকামত দিলে) তিনি সেই জুতা খুলে ফেললেন।
(প্রশ্নে উল্লেখিত মুহতারাম কবির আনোয়ার দাঃবাঃ সেই ২য় মতটির কথা উল্লেখ করেছেন।)