আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in পবিত্রতা (Purity) by (22 points)
closed by
কবির আনোয়ার উস্তাদ দরসে নিচের কথাগুলো বলেছেন,
মুক্বীম অবস্থায় একদিন একরাত পর্যন্ত মোজার উপরে মাসেহ করার সুযোগ থাকে। এরপর একদিন একরাত পার হয়ে গেলে মোজা খুলে আবার ওজু করে আবার মোজা পরতে হবে।
মানে, আপনি যখন একবার মোজা পরবেন এরপর আপনার একদিন একরাত আপনার মোজা না খোলার সুযোগ থাকবে।
অনেকে ভাবেন যে মোজা  সরানো যাবে না বা মোজা পা থেকে সরালেই রুখসত ভেঙে যাবে। কিন্তু না, আপনি মোজা পা থেকে খুলতে পারবেন কিন্তু আপনার অজুটা রিনিউ করার দরকার হবে না। একদিন  একরাতের মধ্যে আপনি মোজা খুলে বিশ্রাম নিতে পারবেন কিন্তু আপনার ওজু রিনিউ করতে হবে না। ২৪ ঘন্টা তো মানুষ মোজা পরে থাকতে পারে না। আবার ঠিকই ২৪ ঘন্টা পার হলে আপনাকে ওজু রিনিউ করতে হবে।
আমার প্রশ্ন হলো

ফিকহে পড়িয়েছে মোজা খোলা যাবে না একদিনের মাঝে বা তিনদিনের মাঝে (মুসাফিরের )। বলেছেন, মোজা খুললেই ওজু আবার করার সময় পা মাসেহ করতে হবে। আর আগের ওজুতে আর নামাজ ও হবে না।  মানে রুখসত ভেঙে যাবে। পড়িয়েছেন আরিফ উস্তাদ। তাহলে কার টা ঠিক ?
closed

1 Answer

+1 vote
by (566,280 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  চামড়ার মোজার উপর মাসেহ জায়েয আছে।

হযরত মুগিরা ইবনে শু'বা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن المغيرة بن شعبة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم مسح على الخفين، فقلت: يا رسول الله أنسيت؟، قال: «بل أنت نسيت، بهذا أمرني ربي عز وجل»

তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুজার উপর মাসেহ করলেন।আমি তখন বললাম,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাম! আপনি কি পা'কে ধৌত করতে ভূলে গিয়েছেন।তখন তিনি বললেন,না বরং তুমিই আল্লাহ বিধানকে ভূলে গেছো।(সুনানু আবু-দাউদ-১৫৬)

কিন্তু চামড়া ছাড়া সুতা বা পশমের তৈরি যেসব মোজা সচরাচর পাওয়া যায় এর উপর মাসেহ সহীহ নয়।
,

মোজার ওপর মাসেহ বাতিলকারী বিষয়সমূহর মধ্যে অন্যতম হলোঃ 
উভয় মোজা অথবা যেকোনো একটি খুলে ফেলা,যার দ্বারা পায়ের অধিকাংশ অংশ খুলে যায়। 

فتاوی شامی  :
"(وخروج أكثر قدميه) من الخف الشرعي، وكذا إخراجه ( نزع ) في الأصح؛ اعتباراً للأكثر، ولا عبرة بخروج عقبه ودخوله، وما روي من النقض بزوال عقبه فمقيد بما إذا كان بنية نزع الخف، أما إذا لم يكن أي زوال عقبه بنيته بل لسعة أو غيرها فلاينقض بالإجماع، كما يعلم من البرجندي معزياً للنهاية وكذا القهستاني". (1/276)

সারমর্মঃ মোজার উপর মাসাহ বাতিল হওয়ার কারন গুলোর মধ্য হতে একটি হলোঃ পায়ের অধিকাংশ অংশ বের হয়ে যাওয়া,অথবা বের করে ফেলা।
তাহলে মাসাহ বাতিল হয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
উল্লেখিত মতটি হানাফী মাযহাব মতে।
অন্যান্য অনেক ইমাম গন এই মতের উপরেই রয়েছেন।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলো এই ক্ষেত্রে মোযা খুলে ফেললে মাসাহ বাতিল হবেনা।

সুতরাং তাদের মতানুসারীগন এই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই। 

روى ابن أبي شيبه عن أبي ظبيان قال رأيت علياً بال قائماً ،ثم توضأ ، ومسح على نعليه ، ثم أقام المؤذن فخلعهما _ زاد البيهقي _ ثم تقدم فأمَّ الناس)
সারমর্মঃ
আলী রাঃ দাড়িয়ে পেশাব করলেন,অতঃপর অযু করলেন,অতঃপর জুতার উপর মাসাহ করলেন,অতঃপর মুয়াজ্জিন দাড়িয়ে গেলে (ইকামত দিলে) তিনি সেই জুতা খুলে ফেললেন।

(প্রশ্নে উল্লেখিত মুহতারাম কবির আনোয়ার দাঃবাঃ সেই ২য় মতটির কথা উল্লেখ করেছেন।) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...