আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
475 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) হায়েয এর সময় রোযার মানত করলে সেটা কি মানত হবে? (শীটে উস্তাদ দিয়েছেন এইটা শরিয়তের দৃষ্টিতে অসম্ভব। তাই মানত হিসেবে ধর্তব্য হবে না) কিন্তু মানত যা করলো সেটা কি হায়েযের পরে রাখতে হবে?
খ) আমি ফরয হজ করি নাই। কিন্তু আবার মানত করলাম, আমার মা সুস্থ হলে এ বছর হজ করবো. এই বছরের হক কি ওয়াজিব মানতের হজ হবে না ফরয হজ হবে।? ফরয হজ কি আবার আদায় করতে হবে পরে?

গ) মানতের পশু কুরবানীর আগে বা গর্ভবতী থাকার কারণে কুরবানির পরে বাচ্চা বের হলে ঐ বাচ্চাকে কুরবানি না করে সাদাকাহ করা যাবে? বা ঐ অর্থ দান করে পালা যাবে?

ঘ) মানত হিসেবে যদি গরু ছেড়ে দেওয়ার মত কোন মানত করা যাবে? মানে গরু পালি আমি। মানত হিসেবে গরুকে মুক্ত করে দেওয়া। এরপর আবার যে কেউ এইটা খেতে পারবে?
ঙ) নফল নামাযের মানত করে পরে নফল নামায পড়তে অক্ষম হয়ে গেলে(অসুস্থ বা অন্য কারণ)  তখন কি করবে? বা যেকোন মানত করে পরে আদায়ে অক্ষম হলে করণীয় কি?
চ) মানতের ওসিয়ত এর বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি। কখন করা যাবে আর কখন যাবে না। কোন আমলের ওসিয়ত কেমন? সব আমলের ওসিয়ত হয়?
ছ) মরিয়ম আঃ কে কোন মুসলিমরা নবি মানে? বা মেয়েদের নবি মানে কোন মুসলিম?
জ) ফেরেশতা বা উনাদের নামের শেষে আলাইহিস সালাম কেন বলা হয়?

ঝ) মীকাত ইহরাম ছাড়া শুরু করে,  পরে ইহরাম মীকাত এর পরে বেঁধে হজ শুরু করে দিলে,  আবার ফিরে এসে নতুন করে মীকাত থেকে ইহরাম ও নতুনভাবে হজ্ব শুরু করে যাবে?
closed
by (22 points)
উত্তর দেওয়া হয়নি জাযাকাল্লাহ খাইরান 

1 Answer

+1 vote
by (589,260 points)
edited by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
أنها لو نذرت صوم الغد فوافق حيضها فإنها تقضيه بخلاف ما لو قالت لله علي صوم يوم حيضي لا قضاء لعدم صحته لإضافته إلى غير محله
যদি কেউ আগামিকাল রোযা রাখার নযর করে,এবং আগামিকাল তার হায়েয শুরু হয়ে যায়,তাহলে তার উপর পরবর্তী একদিন রোযা রাখা ওয়াজিব।কিন্তু যদি কেউ বলে,আমার হায়েযের দিন আমি রোযা রাখার মান্নত করলাম,তাহলে উক্ত রোযা রাখা তার উপর ওয়াজিব হবে না।কেননা,তখন সে এমন এক সময়ের দিকে রোযার নিসবত করেছে,যা রোযার জন্য উপযুক্ত নয়।(বাহরুর রায়েক-২/৩১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি কেউ তার হায়েযের দিন হায়েয হিসেবে রোযা রাখার মান্নত করে,তাহলে তার উপর রোযা ওয়াজিব হবে।কিন্তু যদি সে বলে,আমি আগামি এত তারিখ বা অমুক বার রোযা রাখব,তখন তার উপর উক্ত দিনের রোযা রাখা ওয়াজিব।হায়েয মহিলার গুণ।দিনের গুণ নয়।

উস্তাদ যে শীট দিয়েছেন,সেই শীটের উদ্দেশ্য হল,হায়েযের দিকে নিসবত করে রোযার মান্নত করা।এমন হলে তখন রোযা ওয়াজিব হবে না।

(খ)
হজ্বের মান্নত করার পর মান্নত পুরা করা ওয়াজিব।সুতরাং মান্নতের হজ্ব করার দ্বারা ফরয হজ্ব আদায় হবে না।বরং উক্ত ব্যক্তিকে আবার ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে।

(গ)
কুরবানির জন্য যদি কোনো পশুকে মান্নত করা হয়,এবং ঐ পশু গর্ভবর্তী হয়,যদি বাচ্চা ভুমিষ্ট হয়,তাহলে মা পশুর সাথে সাথে বাচ্ছা পশুকেও কুরবানি করতে হবে।

(ঘ)
যদি আল্লাহর নামে ছেড়ে দেয়া হয়,তাহলে তা ফকির মিসকিনরা খেতে পারবে,তবে গায়রুল্লাহর নামে ছেড়ে দিলে ঐ পশুকে কেউ-ই খেতে পারবে না।

(ঙ)
মান্নত পূর্ণ করতে অক্ষম হয়ে গেলে আল্লাহ কাছে তাওবাহ করতে হবে।

(চ)
মান্নত পূর্ণ করা প্রত্যেকের উপর ওয়াজিব।সে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মান্নতকে পূর্ণ করার চেষ্টা করবে। যখন কেউ মনে করবে, তার দ্বারা মান্নত পূর্ণ করা সম্ভবপর হচ্ছে না, তখন সে মান্নতের ওসিয়ত করবে।

(ছ)
নারীরা নবী হতে পারবেন কি না এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ কথা হল, মহিলাদেরকে আল্লাহ তা’আলা কখানো নবীরূপে প্রেরণ করেন নি। 
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন,
وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُوحِي إِلَيْهِمْ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى
‘আমি তোমার পূর্বে যত রাসূল পাঠিয়েছি, তারা ছিল বিভিন্ন জনপদে বসবাসকারী পুরুষ, যাদের প্রতি আমি ওহী নাজিল করতাম।’ [সূরা, ইউসুফ,আয়াত: ১০৯]

এই আয়াতের তাফসীরে ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন, ‘এই আয়াতের মধ্যে আল্লাহ তাআলা বলছেন যে, তিনি কেবল পুরুষদেরকেই নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। মহিলাদেরকে নয়। আর এটাই জুমহুর বা অধিকাংশ আলেমের মত।’(তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/৫১৪; তাফসীরে তাবারী ৮/৮০)

(জ) ফিরিস্তা বা পূর্ববর্তী নবী ও নেককারদের সাথে আলাইহিস সালাম যোগ করা হয়। 

(ঝ)
ইহরাম ব্যতিত মীকাত অতিক্রম করলে,এর জন্য গোনাহ হব ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব যে,সে আবার মীকাতে এসে ইহরাম বেধে তারপর হজ্বের নিয়ত করবে।ইহরাম ব্যতিত মীকাত অতিক্রম করার দরুণ তার উপর দম ওয়াজিব হবে।

সময় কম বা সাথীদের হারানোর ভয় ব্যতিত যদি কেউ আবার মীকাতে না আসে,তাহলে তার দুইটি গোনাহ হবে।ইহরাম ব্যতিত মীকাত অতিক্রম করার গোনাহ, এবং আবার মীকাতে না যাওয়ার গোনাহ।
(কিতাবুন নাওয়াযিল-৭/৩৩৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)
চ নং প্রশ্ন আবার করতে বলেছিলেনঃ 

মানতের ওসিয়ত এর বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি। কখন করা যাবে আর কখন যাবে না। কোন আমলের ওসিয়ত কেমন? সব আমলের ওসিয়ত হয়?
মানতের ওসীয়ত বলতে, মানত পূর্ণ করতে অক্ষম হয়ে গেলাম। আর পরে মারা যাওয়ার আগে অন্য কাউকে ওসীয়ত করে গেলাম। এইটা কখন করা যাবে আর কখন যাবে না?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...