ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
أنها لو نذرت صوم الغد فوافق حيضها فإنها تقضيه بخلاف ما لو قالت لله علي صوم يوم حيضي لا قضاء لعدم صحته لإضافته إلى غير محله
যদি কেউ আগামিকাল রোযা রাখার নযর করে,এবং আগামিকাল তার হায়েয শুরু হয়ে যায়,তাহলে তার উপর পরবর্তী একদিন রোযা রাখা ওয়াজিব।কিন্তু যদি কেউ বলে,আমার হায়েযের দিন আমি রোযা রাখার মান্নত করলাম,তাহলে উক্ত রোযা রাখা তার উপর ওয়াজিব হবে না।কেননা,তখন সে এমন এক সময়ের দিকে রোযার নিসবত করেছে,যা রোযার জন্য উপযুক্ত নয়।(বাহরুর রায়েক-২/৩১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি কেউ তার হায়েযের দিন হায়েয হিসেবে রোযা রাখার মান্নত করে,তাহলে তার উপর রোযা ওয়াজিব হবে।কিন্তু যদি সে বলে,আমি আগামি এত তারিখ বা অমুক বার রোযা রাখব,তখন তার উপর উক্ত দিনের রোযা রাখা ওয়াজিব।হায়েয মহিলার গুণ।দিনের গুণ নয়।
উস্তাদ যে শীট দিয়েছেন,সেই শীটের উদ্দেশ্য হল,হায়েযের দিকে নিসবত করে রোযার মান্নত করা।এমন হলে তখন রোযা ওয়াজিব হবে না।
(খ)
হজ্বের মান্নত করার পর মান্নত পুরা করা ওয়াজিব।সুতরাং মান্নতের হজ্ব করার দ্বারা ফরয হজ্ব আদায় হবে না।বরং উক্ত ব্যক্তিকে আবার ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে।
(গ)
কুরবানির জন্য যদি কোনো পশুকে মান্নত করা হয়,এবং ঐ পশু গর্ভবর্তী হয়,যদি বাচ্চা ভুমিষ্ট হয়,তাহলে মা পশুর সাথে সাথে বাচ্ছা পশুকেও কুরবানি করতে হবে।
(ঘ)
যদি আল্লাহর নামে ছেড়ে দেয়া হয়,তাহলে তা ফকির মিসকিনরা খেতে পারবে,তবে গায়রুল্লাহর নামে ছেড়ে দিলে ঐ পশুকে কেউ-ই খেতে পারবে না।
(ঙ)
মান্নত পূর্ণ করতে অক্ষম হয়ে গেলে আল্লাহ কাছে তাওবাহ করতে হবে।
(চ)
মান্নত পূর্ণ করা প্রত্যেকের উপর ওয়াজিব।সে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মান্নতকে পূর্ণ করার চেষ্টা করবে। যখন কেউ মনে করবে, তার দ্বারা মান্নত পূর্ণ করা সম্ভবপর হচ্ছে না, তখন সে মান্নতের ওসিয়ত করবে।
(ছ)
নারীরা নবী হতে পারবেন কি না এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ কথা হল, মহিলাদেরকে আল্লাহ তা’আলা কখানো নবীরূপে প্রেরণ করেন নি।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন,
وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُوحِي إِلَيْهِمْ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى
‘আমি তোমার পূর্বে যত রাসূল পাঠিয়েছি, তারা ছিল বিভিন্ন জনপদে বসবাসকারী পুরুষ, যাদের প্রতি আমি ওহী নাজিল করতাম।’ [সূরা, ইউসুফ,আয়াত: ১০৯]
এই আয়াতের তাফসীরে ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন, ‘এই আয়াতের মধ্যে আল্লাহ তাআলা বলছেন যে, তিনি কেবল পুরুষদেরকেই নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। মহিলাদেরকে নয়। আর এটাই জুমহুর বা অধিকাংশ আলেমের মত।’(তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/৫১৪; তাফসীরে তাবারী ৮/৮০)
(জ) ফিরিস্তা বা পূর্ববর্তী নবী ও নেককারদের সাথে আলাইহিস সালাম যোগ করা হয়।
(ঝ)
ইহরাম ব্যতিত মীকাত অতিক্রম করলে,এর জন্য গোনাহ হব ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব যে,সে আবার মীকাতে এসে ইহরাম বেধে তারপর হজ্বের নিয়ত করবে।ইহরাম ব্যতিত মীকাত অতিক্রম করার দরুণ তার উপর দম ওয়াজিব হবে।
সময় কম বা সাথীদের হারানোর ভয় ব্যতিত যদি কেউ আবার মীকাতে না আসে,তাহলে তার দুইটি গোনাহ হবে।ইহরাম ব্যতিত মীকাত অতিক্রম করার গোনাহ, এবং আবার মীকাতে না যাওয়ার গোনাহ।
(কিতাবুন নাওয়াযিল-৭/৩৩৩)