জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইউটিউব থেকে দেখা হোক বা অন্য কোবো ভাবে দেখা হোক, ভিডিও দেখা নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেনঃ
তাসবীর বা ফটো নাজায়েজ ,তাই ভিডিও দেখাও নাজায়েজ।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]
বিস্তারিত জানুন-২২৫৩
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মু'মিন একটি মুহুর্তও অযথা কাটাবে না।বরং সর্বদাই আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকবে।নামায পড়বে,কুরআন তিলাওয়াত করবে,নয়তো যিকির করবে।যদি ইবাদত করতে করতে মন ক্লান্ত হয়ে যায়,তখন মনকে উৎফুল্ল করতে বৈধ বিনোধনের ব্যবস্থা শরীয়তে রয়েছে।.
,
.
★তবে অন্যান্য উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যেঃ
যে সকল দৃশ্য বাস্তবে দেখা নাজায়েয, সেগুলো ভিডিওতে দেখা নাজায়েয। আর যে সকল দৃশ্য বাস্তবে দেখা জায়েয, সেগুলো ভিডিওতে দেখা জায়েয।
আরো জানুনঃ
★যেহেতু ইউটিউবের মাধ্যমে দ্বীনের কিছু ফায়দা হচ্ছে, তাই কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম ইউটিউবের অনুমোদন দিয়েছেন।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এডব্লকার ব্যাবহার করে ইউটিউবে বৈধ কিছু দেখা যাবে।
★তবে ইউটিউব থেকে দূরে থাকা উত্তম হবে।